ঢাকা ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্বাধীন হতে চাই: গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এ বক্তব্যে গ্রিনল্যান্ডের জন্য প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করার ঘোষণা দিয়েছে ডেনমার্ক সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেডে। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন নতুন নির্বাচনের সময় অবশ্যই নাগরিকদের সাথে মিলে এই নতুন পদক্ষেপগুলো তৈরি করতে হবে। আমাদের নিজেদের একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করার সময় এসেছে। আমরা কাদের সাথে সহযোগিতা করব এবং আমাদের ব্যবসায়িক অংশীদার কারা হবেন এ সিদ্ধান্ত আমরাই নেব।’

গত ২২ ডিসেম্বর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহের কথা জানান ট্রাম্প। গ্রিনল্যান্ড নিয়ে রিপাবলিকান এই নেতার এমন মন্তব্য এবারই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিলে ডেনিশ নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান।

ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নন যিনি গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন; এই ধারণাটি প্রথম উত্থাপিত হয় ১৮৬০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসনের সময়।

গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ দ্বীপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রকল্পে বিশাল সব স্থাপনা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপটির অবস্থান উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম জলপথে। এই দ্বীপে গুরুত্বপূর্ণ খনির মজুত আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাধীন হতে চাই: গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এ বক্তব্যে গ্রিনল্যান্ডের জন্য প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করার ঘোষণা দিয়েছে ডেনমার্ক সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেডে। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন নতুন নির্বাচনের সময় অবশ্যই নাগরিকদের সাথে মিলে এই নতুন পদক্ষেপগুলো তৈরি করতে হবে। আমাদের নিজেদের একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করার সময় এসেছে। আমরা কাদের সাথে সহযোগিতা করব এবং আমাদের ব্যবসায়িক অংশীদার কারা হবেন এ সিদ্ধান্ত আমরাই নেব।’

গত ২২ ডিসেম্বর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সোশ্যাল ট্রুথে গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহের কথা জানান ট্রাম্প। গ্রিনল্যান্ড নিয়ে রিপাবলিকান এই নেতার এমন মন্তব্য এবারই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিলে ডেনিশ নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান।

ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নন যিনি গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন; এই ধারণাটি প্রথম উত্থাপিত হয় ১৮৬০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসনের সময়।

গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ দ্বীপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রকল্পে বিশাল সব স্থাপনা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপটির অবস্থান উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম জলপথে। এই দ্বীপে গুরুত্বপূর্ণ খনির মজুত আছে।