তুষারপাতে বন্ধ যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বেশকিছু বিমানবন্দরের কার্যক্রম
- আপডেট সময় : ০১:০৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
স্মরণকালের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। বৈরি আবহাওয়ায় তুষারপাতের সঙ্গে তীব্র তুষারঝড় ও ভারি বৃষ্টিপাতের ঝুঁকিতে দেশ দু’টি। এরইমধ্যে টানা তুষারপাতে বন্ধ হয়ে গেছে দুই দেশের বেশকিছু বিমানবন্দরের কার্যক্রম। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে এরইমধ্যে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
তীব্র শীতে কাঁপছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু অঞ্চল। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলতি দশকে সবচেয়ে ভয়াবহ তুষারঝড় ও বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশটির সাত কোটিরও বেশি বাসিন্দা। ২০১১ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শীতলতম মাস হতে যাচ্ছে জানুয়ারি।
এরইমধ্যে কেন্টাকি, মিসৌরি, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা ও ভার্জিনিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে বৃষ্টি ও ভারি তুষারঝড়ে থমকে আছে জনজীবন। কানসাস ও ইন্ডিয়ানার কিছু অংশে আট ইঞ্চি এবং ভার্জিনিয়ায় ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ায় বাতিল হয়ে গেছে বহু ফ্লাইট।
আবহাওয়াবিদের মতে, আর্কটিকের চারপাশে সঞ্চালিত ঠান্ডা বাতাস ক্রমেই পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এতে কয়েক কোটি মার্কিন নাগরিক রেকর্ড নিম্ন তাপমাত্রার কবলে পড়বেন বলেও আশঙ্কা করা হয়।
এদিকে, যুক্তরাজ্যেও তাপমাত্রা বইছে হিমাঙ্কের নিচে। তীব্র তুষারপাতে মধ্য ও উত্তর ইংল্যান্ডের পাশাপাশি ওয়েলসজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বেশ কিছু অঞ্চলে বরফ গলে দেখা দিয়েছে বন্যা। রাস্তায় বরফ জমে ব্যাহত হচ্ছে যানবাহনের চলাচল।
ভারি তুষারপাতে ম্যানচেস্টার ও লিভারপুল বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। তুষারপাতের কারণে ফ্লাইট উঠা-নামা করতে পারছে না। উত্তর ইংল্যান্ডের কিছু অংশে ১২ থেকে ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃষ্টি ও তুষারপাতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দারাও। চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ইনার মঙ্গোলিয়ার অন্তর্গত হুলুন বুইর শহরে তাপমাত্রা বইছে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই বাইরে বের হতে পারছেন না। ফলে, থমকে গেছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।