ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

মহারাজা মাইন ট্র্যাজেডি দিবস আজ

দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:০০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪০৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ৬ জানুয়ারি, দিনাজপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজানাথ হাইস্কুলের ট্রানজিট ক্যাম্পে ভয়াবহ মাইন বিস্ফোরণে পাঁচ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে এত বড় ট্র্যাজেডির ঘটনা দেশে আর কোথাও ঘটেনি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষায় একটি যাদুঘর নির্মাণ করা হলেও তা তালাবদ্ধ। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে স্মৃতিস্তম্ভটি।

স্বাধীনতার পর দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজানাথ হাইস্কুলে স্থাপন করা হয় মুক্তিযোদ্ধা ট্রানজিট ক্যাম্প। সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা জড়ো করে রাখছিলেন পাকিস্তানি সেনাদের পুঁতে রাখা এবং ফেলে দেওয়া মাইন ও গোলাবারুদ। ১৯৭২ সালের ৬ই জানুয়ারি একটি মাইন বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়। বহুসংখ্যক আহত হন।

মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে এত বড় ট্র্যাজেডির ঘটনা দেশে আর কোথাও ঘটেনি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষায় একটি যাদুঘর নির্মাণ করা হলেও তা তালাবদ্ধ। ভেতরে নেই কোন স্মৃতিচিহ্ন। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে স্মৃতিস্তম্ভটি।

আজ তালাবদ্ধ যাদুঘরটি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব সুলতান কামাল উদ্দীন বাচ্চু।

৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই যাদুঘরটি নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি। এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রিশাদ জামান।২০২২ সালেই যাদুঘরটি হস্তান্তর করা হয়েছে মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে।

কিন্তু মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলম, জানান, যাদুঘরটি হস্তান্তর করা হলেও জনবল না থাকায় তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

মহারাজা মাইন ট্র্যাজেডি দিবস আজ

আপডেট সময় : ০১:০০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

আজ ৬ জানুয়ারি, দিনাজপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজানাথ হাইস্কুলের ট্রানজিট ক্যাম্পে ভয়াবহ মাইন বিস্ফোরণে পাঁচ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে এত বড় ট্র্যাজেডির ঘটনা দেশে আর কোথাও ঘটেনি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষায় একটি যাদুঘর নির্মাণ করা হলেও তা তালাবদ্ধ। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে স্মৃতিস্তম্ভটি।

স্বাধীনতার পর দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজানাথ হাইস্কুলে স্থাপন করা হয় মুক্তিযোদ্ধা ট্রানজিট ক্যাম্প। সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা জড়ো করে রাখছিলেন পাকিস্তানি সেনাদের পুঁতে রাখা এবং ফেলে দেওয়া মাইন ও গোলাবারুদ। ১৯৭২ সালের ৬ই জানুয়ারি একটি মাইন বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়। বহুসংখ্যক আহত হন।

মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে এত বড় ট্র্যাজেডির ঘটনা দেশে আর কোথাও ঘটেনি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষায় একটি যাদুঘর নির্মাণ করা হলেও তা তালাবদ্ধ। ভেতরে নেই কোন স্মৃতিচিহ্ন। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে স্মৃতিস্তম্ভটি।

আজ তালাবদ্ধ যাদুঘরটি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব সুলতান কামাল উদ্দীন বাচ্চু।

৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই যাদুঘরটি নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি। এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রিশাদ জামান।২০২২ সালেই যাদুঘরটি হস্তান্তর করা হয়েছে মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে।

কিন্তু মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলম, জানান, যাদুঘরটি হস্তান্তর করা হলেও জনবল না থাকায় তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।