ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২১:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুদ্ধ বিরতির আলোচনায় এবার প্রথম ধাপে ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস। এ দাবি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। এদিকে বাইডেন প্রশাসন থাকাকালিন সময়ে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কিনা তা নিয়েও আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা তুঙ্গে। এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজাজুড়ে ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙ্গে দিতে হাসপাতালকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে আইডিএফ। এরমাঝেই তীব্র শীতে হাইপোথার্মিয়ায় মারা যাচ্ছে একের পর এক শিশু। আরো জানাচ্ছেন আফরিন মৌ।

বেশ কয়েকবার ভেস্তে যাওয়ার পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এবারের যুদ্ধ বিরতির আলোচনা অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গোষ্ঠীটির এক মুখপাত্র জানান, এরইমধ্যে ৩৪ বন্দির একটি লিস্ট ইসরায়েলকে দেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে তাদের ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এতে প্রধান্য পাবে বয়োবৃদ্ধ ও নারীরা। যদিও বন্দিদের মধ্যে কতজন জীবিত রয়েছে তা শনাক্ত করতে ১ সপ্তাহ সময় চেয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামি সংগঠনটি।

হামাসের এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েল বলেন তাদের কাছে কোনো তালিকাই পৌছায়নি। এদিকে আলোচনার এ পডরিস্থিতিতেই সামনে গাজাবাসীর জন্য কি অপেক্ষা করছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে আলোচনা। এমনকি, বাইডেন সরকারের কাছে ক্ষমতাও রয়েছে আর মাত্র ১৫ দিন। এরমধ্যেই যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে অনেকের মনে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বেশ কিছুদিন আগেই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের সময় যদি যুদ্ধবিরতি না হয়, তবে জাহান্নাম উন্মুক্ত হতে চলেছে। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন হুশিয়ারির পরও যুদ্ধ বিরতি বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো রয়েছে ধোয়াশা। কেননা হামাস বন্দীদের মুক্তি দিলেই এই যুদ্ধ শেষ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর সে কারণেই হামাস ইসরায়েলের কাছ থেকে স্পষ্ট অঙ্গীকার চায়।

যুদ্ধ বিরতির এ আলোচনার মধ্যেই গাজার রাফাহ, জাবালিয়া ও মধ্যাঞ্চলে হামলা আরো কয়েকধাপ তীব্র করেছ ইসরায়েল। স্থানীয় সময় রোববারও উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান হামলা চালায় তারা। এতে বেশ কয়েকজন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এরমাঝেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙ্গে দিতে হাসপাতালকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে আইডিএফ। উত্তর গাজার সর্বশেষ আংশিকভাবে কার্যকর হাসপাতাল আল-আওদা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আল-আওদাকে সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের তথ্য বলছে হাসপাতালটিতে ৬৩ কর্মি এ ৩৪ রোগী আটকে রয়েছে।

এদিকে, তীব্র শীতে হাইপোথার্মিয়ায় গাজা জুড়ে এখন পর্যন্ত ৮ শিশুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গণমাধ্যম। এরমধ্যেও অঞ্চলগুলোতে মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা আইডিএফ।

নিউজটি শেয়ার করুন

৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হামাস

আপডেট সময় : ০১:২১:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

যুদ্ধ বিরতির আলোচনায় এবার প্রথম ধাপে ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস। এ দাবি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। এদিকে বাইডেন প্রশাসন থাকাকালিন সময়ে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কিনা তা নিয়েও আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা তুঙ্গে। এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজাজুড়ে ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙ্গে দিতে হাসপাতালকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে আইডিএফ। এরমাঝেই তীব্র শীতে হাইপোথার্মিয়ায় মারা যাচ্ছে একের পর এক শিশু। আরো জানাচ্ছেন আফরিন মৌ।

বেশ কয়েকবার ভেস্তে যাওয়ার পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এবারের যুদ্ধ বিরতির আলোচনা অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গোষ্ঠীটির এক মুখপাত্র জানান, এরইমধ্যে ৩৪ বন্দির একটি লিস্ট ইসরায়েলকে দেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে তাদের ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এতে প্রধান্য পাবে বয়োবৃদ্ধ ও নারীরা। যদিও বন্দিদের মধ্যে কতজন জীবিত রয়েছে তা শনাক্ত করতে ১ সপ্তাহ সময় চেয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামি সংগঠনটি।

হামাসের এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েল বলেন তাদের কাছে কোনো তালিকাই পৌছায়নি। এদিকে আলোচনার এ পডরিস্থিতিতেই সামনে গাজাবাসীর জন্য কি অপেক্ষা করছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে আলোচনা। এমনকি, বাইডেন সরকারের কাছে ক্ষমতাও রয়েছে আর মাত্র ১৫ দিন। এরমধ্যেই যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে অনেকের মনে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বেশ কিছুদিন আগেই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের সময় যদি যুদ্ধবিরতি না হয়, তবে জাহান্নাম উন্মুক্ত হতে চলেছে। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন হুশিয়ারির পরও যুদ্ধ বিরতি বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো রয়েছে ধোয়াশা। কেননা হামাস বন্দীদের মুক্তি দিলেই এই যুদ্ধ শেষ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর সে কারণেই হামাস ইসরায়েলের কাছ থেকে স্পষ্ট অঙ্গীকার চায়।

যুদ্ধ বিরতির এ আলোচনার মধ্যেই গাজার রাফাহ, জাবালিয়া ও মধ্যাঞ্চলে হামলা আরো কয়েকধাপ তীব্র করেছ ইসরায়েল। স্থানীয় সময় রোববারও উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান হামলা চালায় তারা। এতে বেশ কয়েকজন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এরমাঝেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙ্গে দিতে হাসপাতালকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে আইডিএফ। উত্তর গাজার সর্বশেষ আংশিকভাবে কার্যকর হাসপাতাল আল-আওদা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আল-আওদাকে সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের তথ্য বলছে হাসপাতালটিতে ৬৩ কর্মি এ ৩৪ রোগী আটকে রয়েছে।

এদিকে, তীব্র শীতে হাইপোথার্মিয়ায় গাজা জুড়ে এখন পর্যন্ত ৮ শিশুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গণমাধ্যম। এরমধ্যেও অঞ্চলগুলোতে মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা আইডিএফ।