ঢাকা ০৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের বানানোর ইচ্ছা ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাস্টিন ট্রুডো নিজ দল লিবারেল পার্টির প্রধান ও কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ৬ জানুয়ারি (সোমবার) সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের বানানো ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর এনডিটিভির।

সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, কানাডার অনেক মানুষ আমাদের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হতে পছন্দ করে। কানাডাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকির চাপ যুক্তরাষ্ট্র ভোগ করবে না। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন এবং পদত্যাগ করেছেন।

ট্রাম্প তার পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘যদি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হয় তাহলে সেখানে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর অনেকটাই কমে যাবে। সেইসঙ্গে ক্রমাগতভাবে তাদের ঘিরে থাকা রাশিয়ান এবং চীনা জাহাজের হুমকি থেকে সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ থাকবে। একত্রে, কি একটি মহান জাতি হবে!!!’

প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি কানাডা থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপ করবেন। ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারি বার্তার পর গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটে আসেন ট্রুডো। দেখা করেন ট্রাম্পের সঙ্গে। সেইসময়ও ট্রাম্প ট্রুডোকে বলেছিলেন যে কানাডা যেন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর গত মাসেও জাস্টিন ট্রুডোকে তার দেশে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে ট্রুডোর প্রশাসন জানিয়েছিল, ট্রাম্প মজা করেছেন। তবে ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণার পর কানাডাকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার কথা বললেন ট্রাম্প।

এদিকে গতকাল পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় ট্রুডো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেব সেবা করার সুযোগ পাওয়ায় আমি গর্বিত। আমি করোনা মহামারির সময়ে সেবা করতে পেরেছি, গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য কাজ করেছি, ব্যবসা বাণিজ্যের জন্যও কাজ করেছি। আপনারা সবাই জানেন যে আমি একজন লড়াকু মানুষ। খবর, ঠিকানা ।

জাস্টিন ট্রুডো আরও বলেন, আমি যখন ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হই তখন থেকেই কানাডার জন্য, তার স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করেছি। মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে মজবুত করার জন্য কাজ করেছি আমি।

নিউজটি শেয়ার করুন

কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের বানানোর ইচ্ছা ট্রাম্পের

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

জাস্টিন ট্রুডো নিজ দল লিবারেল পার্টির প্রধান ও কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ৬ জানুয়ারি (সোমবার) সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের বানানো ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর এনডিটিভির।

সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, কানাডার অনেক মানুষ আমাদের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হতে পছন্দ করে। কানাডাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকির চাপ যুক্তরাষ্ট্র ভোগ করবে না। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন এবং পদত্যাগ করেছেন।

ট্রাম্প তার পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘যদি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হয় তাহলে সেখানে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর অনেকটাই কমে যাবে। সেইসঙ্গে ক্রমাগতভাবে তাদের ঘিরে থাকা রাশিয়ান এবং চীনা জাহাজের হুমকি থেকে সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ থাকবে। একত্রে, কি একটি মহান জাতি হবে!!!’

প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি কানাডা থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপ করবেন। ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারি বার্তার পর গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটে আসেন ট্রুডো। দেখা করেন ট্রাম্পের সঙ্গে। সেইসময়ও ট্রাম্প ট্রুডোকে বলেছিলেন যে কানাডা যেন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর গত মাসেও জাস্টিন ট্রুডোকে তার দেশে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে ট্রুডোর প্রশাসন জানিয়েছিল, ট্রাম্প মজা করেছেন। তবে ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণার পর কানাডাকে ফের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার কথা বললেন ট্রাম্প।

এদিকে গতকাল পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় ট্রুডো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেব সেবা করার সুযোগ পাওয়ায় আমি গর্বিত। আমি করোনা মহামারির সময়ে সেবা করতে পেরেছি, গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য কাজ করেছি, ব্যবসা বাণিজ্যের জন্যও কাজ করেছি। আপনারা সবাই জানেন যে আমি একজন লড়াকু মানুষ। খবর, ঠিকানা ।

জাস্টিন ট্রুডো আরও বলেন, আমি যখন ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হই তখন থেকেই কানাডার জন্য, তার স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করেছি। মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে মজবুত করার জন্য কাজ করেছি আমি।