ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কূটনীতি হবে বাণিজ্যকেন্দ্রিক’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের কূটনীতি বাণিজ্যকেন্দ্রিক হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। আমীর খসরু বলেন, ‘যখন আমরা ক্ষমতায় আসবো, আমাদের কূটনীতি হবে বাণিজ্যকেন্দ্রিক। প্রতিটি মিশনকে বাণিজ্য প্রসার এবং প্রবাসীদের সঙ্গে সঠিক সম্পৃক্ততা নিয়ে তাদের অগ্রগতির প্রতিবেদন দিতে হবে।’

আওয়ামী লীগের শাসনামলে অর্থনীতিতে অলিগার্কদের উত্থানে পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শুরুতে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করেছে। এরপর দলটি একে একে সব জায়গা দখল করেছে। পুরো অর্থনীতি তাদের পছন্দের লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়। যার ফলে সবার সমান সুযোগ না থাকায় দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশের অর্থনীতি হবে গণতান্ত্রিক। গণতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা গেলে দেশ উপকৃত হবে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য উদার রাজনীতি এবং মুক্ত বাণিজ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফ্লিড তৈরি করতে হবে। আমাদের যারা ডায়াসপোরা আছে তারা যেন সমান সুযোগ পান সেদিকে নজর দিতে হবে। বিগত সময়ের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন খুব ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সামনে দিনে এটি আরও ভালো হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতির পুরোনো ইস্যুতে পড়ে থাকলে চলবে না। আমাদের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যেন কখনো বৈষম্যের মুখে পড়তে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

অর্থনীতির গণতন্ত্রায়ণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আমির খসরু বলেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের আরও উদার হতে হবে। সমস্ত বড় সুযোগ-সুবিধা কেন শুধু পোশাক খাত পেল, আর অন্য ২০টি সম্ভাবনাময় খাত তা পেল না, সেটি গভীরভাবে বিবেচনা করতে হবে। সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসার খরচও স্বাভাবিক নিয়মেই কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এত বড় তরুণ কর্মী বাহিনী যদি দক্ষ না হয় তাহলে এ জনসংখ্যার সুবিধা কোনো কাজে আসবে না।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউকেবিসিসিআই) প্রতিনিধি দলের সদস্য রূপা হক, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কূটনীতি হবে বাণিজ্যকেন্দ্রিক’

আপডেট সময় : ০৫:২৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের কূটনীতি বাণিজ্যকেন্দ্রিক হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। আমীর খসরু বলেন, ‘যখন আমরা ক্ষমতায় আসবো, আমাদের কূটনীতি হবে বাণিজ্যকেন্দ্রিক। প্রতিটি মিশনকে বাণিজ্য প্রসার এবং প্রবাসীদের সঙ্গে সঠিক সম্পৃক্ততা নিয়ে তাদের অগ্রগতির প্রতিবেদন দিতে হবে।’

আওয়ামী লীগের শাসনামলে অর্থনীতিতে অলিগার্কদের উত্থানে পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শুরুতে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করেছে। এরপর দলটি একে একে সব জায়গা দখল করেছে। পুরো অর্থনীতি তাদের পছন্দের লোকের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়। যার ফলে সবার সমান সুযোগ না থাকায় দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশের অর্থনীতি হবে গণতান্ত্রিক। গণতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা গেলে দেশ উপকৃত হবে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য উদার রাজনীতি এবং মুক্ত বাণিজ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফ্লিড তৈরি করতে হবে। আমাদের যারা ডায়াসপোরা আছে তারা যেন সমান সুযোগ পান সেদিকে নজর দিতে হবে। বিগত সময়ের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন খুব ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সামনে দিনে এটি আরও ভালো হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতির পুরোনো ইস্যুতে পড়ে থাকলে চলবে না। আমাদের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যেন কখনো বৈষম্যের মুখে পড়তে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

অর্থনীতির গণতন্ত্রায়ণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আমির খসরু বলেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের আরও উদার হতে হবে। সমস্ত বড় সুযোগ-সুবিধা কেন শুধু পোশাক খাত পেল, আর অন্য ২০টি সম্ভাবনাময় খাত তা পেল না, সেটি গভীরভাবে বিবেচনা করতে হবে। সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসার খরচও স্বাভাবিক নিয়মেই কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এত বড় তরুণ কর্মী বাহিনী যদি দক্ষ না হয় তাহলে এ জনসংখ্যার সুবিধা কোনো কাজে আসবে না।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউকেবিসিসিআই) প্রতিনিধি দলের সদস্য রূপা হক, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন।