ভারতেও ছড়িয়েছে এইচএমপিভির সংক্রমণ
- আপডেট সময় : ০৪:৩০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
চীন, জাপান, হংকং ও মালয়েশিয়ার পর এবার এইচএমপিভির সংক্রমণ দেখা গেছে ভারতে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) কর্ণাটক রাজ্যে ২ জন ও আহমেদাবাদে ১ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে হিউম্যান মেটা নিউমোভাইরাসের উপস্থিতি। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনার মতো প্রাণঘাতী নয় এই ভাইরাস।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। এক মাসের ব্যবধানেই যা পরিণত হয় মহামারিতে। বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখের বেশি প্রাণ কেড়ে নেয়ার পর কমতে থাকে করোনার প্রকোপ। ঠিক ৫ বছর বাদে চীন থেকেই ছড়িয়ে পড়লো আরেক ভাইরাস এইচএমপিভি। চীন, জাপান, হংকং ও মালয়েশিয়ার পর এবার ভারতেও দেখা গেলো হিউম্যান মেটা নিউমোভাইরাসের সংক্রমণ।
সোমবার প্রথমবারের মতো ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে এইচএমপিভি সংক্রমিত ২ শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে। এক শিশুর চিকিৎসা চললেও অপরজন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছে বাড়িতে। আহমেদাবাদে ভাইরাসে সংক্রমিত আরেক শিশুর অবস্থা অপরিবর্তনশীল।
এমন পরিস্থিতিতে ৩টি রাজ্যে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। পর্যাপ্ত আইসিইউ শয্যার পাশাপাশি রাখা হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা। বাড়ানো হয়েছে এইচএমপিভি টেস্টিং কিট ও পরীক্ষাগারের সংখ্যা। ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে জয়েন্ট মনিটরিং টিম।
প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস আবিষ্কৃত হয় ২০১৯ সালে। অন্যদিকে এইএমপিভি উপস্থিতি ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো শনাক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা সিডিসি। দুই দশকের বেশি সময় পরেও এখনো সম্ভব হয়নি এর প্রতিষেধক আবিষ্কার। যদিও দীর্ঘ এ সময়ে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা পরিবর্তিত হওয়ায় ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
নয়াদিল্লীর এআইআইএমএস অধ্যাপক নীরাজ নিশ্চল বলেন, ‘কোভিড পুরোপুরি একটি নতুন ভাইরাস ছিল। এর বিরুদ্ধে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছিল না। তবে এই ভাইরাসটি ২০০১ সালে আবিষ্কৃত হয়। এমনকি ১৯৫০ ও ৬০ এর দশক থেকে এই ভাইরাসটি আমাদের প্রকৃতিতে ছিল। এতদিনে প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় শঙ্কার কোনো কারণ নেই।’
এইচএমপিভি মূলত একটি শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস। তাই এর উপসর্গগুলো অনেকটা করোনার মতো। হাঁচি, কাশি এমনকি হাত মেলানো বা শারীরিক স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস। তাই সংক্রমণ এড়াতে করোনার মতো সতর্কতা বিধি মেনে চলার পরামর্শ চিকিৎসকদের।