বর্তমানে পুঁজিবাজার যে খারাপ অবস্থায় আছে তা সংস্কারের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার বাজার অংশীদারদের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। এদিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে যান উপদেষ্টা। এসময় সংস্কার শেষে বাজার ভালো অবস্থানে যাবে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১০ এর ধসের পর আর ভালো অবস্থানে ফেরেনি পুঁজিবাজার। একের পর এক মন্দ কোম্পানির তালিকাভুক্তি আর কারসাজির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে লাখ লাখ কোটি টাকা।
আগের দুই চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সময়ে খারাপ সময় পার করছে পুঁজিবাজার। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরের ৫ মাসে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। নানা সংস্কার, অর্থ সহায়তা ও কারসাজিকারীদের বড় জরিমানা করেও কাজে আসেনি।
গতবছর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক হারিয়েছে ১ হাজার পয়েন্টের বেশি। আর বিনিয়োগকারীরা মূলধন হারিয়েছে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি। লেনদেন নেমেছে ৩শ কোটির ঘরে।
এরইমধ্যে দফায় দফায় বাজার অংশীদারদের সাথে বৈঠক করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে যান অর্থ উপদেষ্টা। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রধান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আসেন বৈঠক করতে। বাজার অংশীদারদের সাথে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
আইসিবি চেয়ারম্যান জানান, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির বেশিরভাগ মন্দ কোম্পানি। যে কারণে বাজারের অবস্থা ভালো নেই।
এসময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের কারণে পুঁজিবাজার সাময়িক খারাপ অবস্থায় আছে। সংস্কার শেষে ভালো অবস্থানে যাবে।
দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়নে ব্যাংকের সাথে পুঁজিবাজারের সামঞ্জস্য রাখা হবে। আর ভালো সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রাকৃতিকভাবে ভালো শেয়ারের মাধ্যমে বাজার দীর্ঘমেয়াদে ভালো হবে বলেও জানান তিনি।