ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হৃদরোগে এখনও ঘুষ ছাড়া মেলে না স্বাস্থ্যসেবা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উন্নত আর মানসম্মত চিকিৎসার আশায় সারাদেশ থেকে হৃদরোগীরা ছুটে আসেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। তবে গণঅভ্যুত্থানের পর স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক রদবদলের পরও পরিবর্তন আসেনি এখানকার সেবার মানে। এখনও এখানে ঘুষ ছাড়া মেলে না শয্যা কিংবা অপারেশনের সিরিয়াল।

হাসপাতালটি নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের অধিকাংশেরই অভিজ্ঞতাই এক। তারা জানায়, শত শত লোক মাটিতে পরে আছে, চিকিৎসার জন্যে কিন্তু ঘুষ না দেয়ায় মিলছে না সেবা। আবার ৩০০টাকা দিলেই পাওয়া যায় হাসপাতালের বেড। এমনকি অপারেশন থিয়েটর থেকে বের হবার সময়ও গেটম্যানকে দেয়া লাগে টাকা। বিষয়টা এমন যে হৃদরোগ হাসপাতালে এক গ্লাস পানি খেতে চাইলেও টাকা দেয়া লাগে।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে ৪৫০ থেকে ১২শ শয্যায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা রয়ে গেছে ২০০তেই। জনবল ঘাটতি নিয়ে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালটি। আউটসোর্সিংয়ে যারা কাজ করে তারাই মূলত ঘুষ নেয় দাবি করলেন হাসপাতালের কর্মীরা।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীর কাছ থেকে খুব একটা সহযোগিতা পাওয়া যায় নি। ফোনে দায়সারা ভাবে জানালেন, অবস্থা পরিবর্তনে চেষ্টার কোন কমতি নেই।

তিনি আরও বলেন, আগে আরও খারাপ অবস্থা ছিল। এখন ঘুষ লেনদেন কিছুটা কমাতে পেরেছি। ১৫ বছরের অভ্যাস হুট করে পরিবর্তন করা কঠিন। তবে আগে রুগীরা কথা বলতে অভিযোগ করতে সাহস পেতো না। সেখান থেকে তাদের বের করার চেষ্টা করছি, যেন তারা তাদের অভিযোগগুলো করতে পারে, বলতে পারে। তারা অভিযোগ করলেই আমরা বিষয়গুলো আস্তে আস্তে ধরতে পারবো।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান অনেক ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পরিবর্তনের ব্যাপারে আশাবাদী করছে। তাহলে স্বাস্থ্যসেবায় কেন নেয়- জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন এ কথা।

নিউজটি শেয়ার করুন

হৃদরোগে এখনও ঘুষ ছাড়া মেলে না স্বাস্থ্যসেবা

আপডেট সময় : ০২:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

উন্নত আর মানসম্মত চিকিৎসার আশায় সারাদেশ থেকে হৃদরোগীরা ছুটে আসেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। তবে গণঅভ্যুত্থানের পর স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক রদবদলের পরও পরিবর্তন আসেনি এখানকার সেবার মানে। এখনও এখানে ঘুষ ছাড়া মেলে না শয্যা কিংবা অপারেশনের সিরিয়াল।

হাসপাতালটি নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের অধিকাংশেরই অভিজ্ঞতাই এক। তারা জানায়, শত শত লোক মাটিতে পরে আছে, চিকিৎসার জন্যে কিন্তু ঘুষ না দেয়ায় মিলছে না সেবা। আবার ৩০০টাকা দিলেই পাওয়া যায় হাসপাতালের বেড। এমনকি অপারেশন থিয়েটর থেকে বের হবার সময়ও গেটম্যানকে দেয়া লাগে টাকা। বিষয়টা এমন যে হৃদরোগ হাসপাতালে এক গ্লাস পানি খেতে চাইলেও টাকা দেয়া লাগে।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে ৪৫০ থেকে ১২শ শয্যায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা রয়ে গেছে ২০০তেই। জনবল ঘাটতি নিয়ে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালটি। আউটসোর্সিংয়ে যারা কাজ করে তারাই মূলত ঘুষ নেয় দাবি করলেন হাসপাতালের কর্মীরা।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীর কাছ থেকে খুব একটা সহযোগিতা পাওয়া যায় নি। ফোনে দায়সারা ভাবে জানালেন, অবস্থা পরিবর্তনে চেষ্টার কোন কমতি নেই।

তিনি আরও বলেন, আগে আরও খারাপ অবস্থা ছিল। এখন ঘুষ লেনদেন কিছুটা কমাতে পেরেছি। ১৫ বছরের অভ্যাস হুট করে পরিবর্তন করা কঠিন। তবে আগে রুগীরা কথা বলতে অভিযোগ করতে সাহস পেতো না। সেখান থেকে তাদের বের করার চেষ্টা করছি, যেন তারা তাদের অভিযোগগুলো করতে পারে, বলতে পারে। তারা অভিযোগ করলেই আমরা বিষয়গুলো আস্তে আস্তে ধরতে পারবো।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান অনেক ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পরিবর্তনের ব্যাপারে আশাবাদী করছে। তাহলে স্বাস্থ্যসেবায় কেন নেয়- জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন এ কথা।