ডিভোর্স হলেও ৫মিলিয়ন ডলারের আংটি ফেরত দিচ্ছেন না জেনিফার
- আপডেট সময় : ০২:০৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে বিয়ে ভেঙেছে জেনিফার লোপেজের। এখবর তো পুরনো। তবে বেনের থেকে আলাদা হলেও ৫মিলিয়ন ডলারের বাগদানের আংটি ফেরত দিতে নারাজ জেনিফার লোপেজ। বিয়ের বয়স মাত্র ২, তবে এর বেশি আর এগোল না জেনিফার-বেনের বিয়ে। ২০২৪ সালের ২৬ এপ্রিল দিনটা বিবাহ-বিচ্ছেদের তারিখ হিসাবে নির্দিষ্ট করা হয়। এই বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল দুজনের মধ্যে ‘অমীমাংসনীয় মত-পার্থক্য’। এই দম্পতি আদালতে জানিয়েছেন তাঁদের একসঙ্গে থাকা প্রায় অসম্ভব।
এদিকে বিবাহ-বিচ্ছেদ হলেও সদ্য প্রাক্তন স্বামী স্বামী বেন অ্যাফ্লেকের উপহার দেওয়া ৫ মিলিয়ন ডলারের বাগদানের হীরের আংটি ফেরত দিতে নারাজ জেনিফার লোপেজ।
আদালতের নথি থেকে জানা যাচ্ছে, জেনিফার বাগদানে পাওয়া ৮.৫ ক্যারেটের সবুজ হীরের আংটি, নিজের কাছেই রাখছেন। বেন অ্যাফ্লেক নাকি এই আংটিটি তাঁদের চূড়ান্ত বিবাহবিচ্ছেদ ও নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে প্রাক্তনকে উপহার দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা এ বলছেন যে এই আকার এবং রঙের হীরেটি ভীষণভাবেই বিরল। এর মূল্য ৫মিলিয়ন ডলারেরও বেশি হতে পারে। এদিকে বেন অ্যাফ্লেকের আংটিতে নাকি খোদাই করে লেখা ছিল ‘কোথাও যাচ্ছি না’।
ইনটাচ সাপ্তাহিক পত্রিকা অনুসারে, বিচ্ছেদের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির সময় জেনিফারকে আংটি ছাড়াও তাঁর পোশাক, গয়না এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিস উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় বিচ্ছেদের দিন থেকে জেনিফার তাঁর উপর্জনের সমস্ত টাকা এবং সিটি ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের দুটি অ্যাকাউন্টে জমা থাকা তহবিলের অর্ধেক টাকা পেয়ে যাবেন।
এখানেই শেষ নয়, আদালতের নথি অনুযায়ী, জেনিফার তাঁর অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান এবং/অথবা তাঁর বিয়ের কারণে যে কোনও সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা এবং সামাজিক সুরক্ষা ডেরিভেটিভ অধিকারগুলিতে এবং তাঁর সমস্ত অধিকার, শিরোনাম এবং আগ্রহ বজায় রাখবেন।
একইভাবে বেন অ্যাফ্লেকও তাঁর পোশাক, গয়না সহ ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের পাশাপাশি বিচ্ছেদের পরে তাঁর যেকোনও উপার্জন নিজের কাছেই রাখবেন। তিনি তাঁর প্রযোজনা সংস্থা, আর্টিস্টস ইক্যুইটির সম্পূর্ণ মালিকানাও বজায় রাখবেন, যা তিনি ম্যাট ডেমনের সঙ্গে ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এছাড়াও রয়েছে তাঁদের ৬০ মিলিয়ন ডলারের বেভারলি হিলস ম্যানসন। সেটা বিক্রির টাকাও এই সদ্য প্রাক্তন দম্পতি ভাগাভাগি করে নেবেন। এছাড়াও এই বিচ্ছেদের চুক্তি অনুযায়ী জেনিফার বা বেন ভবিষ্যতে একে অপরের প্রয়োজনে পাশাপাশি থাকার কোনও দাবি করতে পারবেন না। জানা যায়, দু’জন অনেকদিন ধরেই আলাদা থাকছিলে। তবে প্রথমদিকে এমন প্রতিবেদনেও মুখ খোলেননি তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এটা বেনের দ্বিতীয় ও জেনিফারের চতুর্থ বিবাহ-বিচ্ছেদ ছিল। জানা যায়, দু’জন অনেকদিন ধরেই আলাদা থাকছিলে। তবে প্রথমদিকে এমন প্রতিবেদনেও মুখ খোলেননি তাঁরা।