ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তার দল লেবার পার্টি। বর্তমানে সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্বরত টিউলিপ সিদ্দিককে তার পদ থেকে সরিয়ে দিলে কারা সেই পদে দায়িত্ব নিতে পারেন সে রকম একটা তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

টউলিপ সিদ্দিক, যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী। মিনিস্টার হিসেবে তার দায়িত্ব যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশে ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ, তার খালা শেখ হাসিনা, মা শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে গত মাস থেকে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

সম্প্রতি গত শুক্রবার টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তাতে বলা হয়, ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সংশ্লিষ্টতায় আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনা মূল্যে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন টিউলিপ। এসব কিছু বিবেচনায় তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকাও নাকি করা হয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই চাপের মধ্যে আছেন যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক। এবার সেই বিষয়েই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। যদিও এর আগে একই বিষয়ে তার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। তবে এবার হয়তো জায়গা থেকে সরে আসতে যাচ্ছেন স্টারমার।

বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, তাকে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন প্রার্থীদের নাম প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন বলে টাইমসকে জানানো হয়েছে। গত সোমবার টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার ‘লাউরি ম্যাগনাস’এর কাছে নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের জন্য তদন্তের আহ্বান জানান। এর আগেই কর্মকর্তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করেছেন।

দ্যা টাইমস আরও লিখেছে, যদিও এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন স্টারমার। সেইসাথে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র টিউলিপের পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে “সম্পূর্ণ অসত্য” বলে দাবি করেছেন।

এদিকে, টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য হলেও বিরোধী এমপিরা টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা টিউলিপের উদ্দেশে বলেছেন, ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তিনি যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সূত্র: দ্য টাইমস

নিউজটি শেয়ার করুন

টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি

আপডেট সময় : ০১:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তার দল লেবার পার্টি। বর্তমানে সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্বরত টিউলিপ সিদ্দিককে তার পদ থেকে সরিয়ে দিলে কারা সেই পদে দায়িত্ব নিতে পারেন সে রকম একটা তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

টউলিপ সিদ্দিক, যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী। মিনিস্টার হিসেবে তার দায়িত্ব যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশে ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ, তার খালা শেখ হাসিনা, মা শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে গত মাস থেকে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

সম্প্রতি গত শুক্রবার টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তাতে বলা হয়, ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সংশ্লিষ্টতায় আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনা মূল্যে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন টিউলিপ। এসব কিছু বিবেচনায় তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকাও নাকি করা হয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই চাপের মধ্যে আছেন যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক। এবার সেই বিষয়েই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। যদিও এর আগে একই বিষয়ে তার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। তবে এবার হয়তো জায়গা থেকে সরে আসতে যাচ্ছেন স্টারমার।

বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, তাকে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন প্রার্থীদের নাম প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন বলে টাইমসকে জানানো হয়েছে। গত সোমবার টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার ‘লাউরি ম্যাগনাস’এর কাছে নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের জন্য তদন্তের আহ্বান জানান। এর আগেই কর্মকর্তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করেছেন।

দ্যা টাইমস আরও লিখেছে, যদিও এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন স্টারমার। সেইসাথে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র টিউলিপের পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে “সম্পূর্ণ অসত্য” বলে দাবি করেছেন।

এদিকে, টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য হলেও বিরোধী এমপিরা টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা টিউলিপের উদ্দেশে বলেছেন, ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তিনি যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সূত্র: দ্য টাইমস