ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

বদলে যাচ্ছে ইরানের রাজধানী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আড়াইশ’ বছরের পুরোনো রাজধানী নগরী তেহরান আর থাকছে না ইরানের রাজধানী। সরে যেতে পারে দক্ষিণের উপকূলীয় মাকরান অঞ্চলে। একে দুশ’ বছরের জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, তার ওপর পানি ও বিদ্যুতের ঘাটতি। সমস্যার সমাধান হিসেবে রাজধানী সরিয়ে নেয়াই বিকল্প মনে করছে ইরান সরকার।

ইতিহাসের এক জীবন্ত উপাখ্যান তেহরান। বহু ঐতিহাসিক নিদর্শনের ভূমি মরুর বুক চিড়ে জেগে ওঠা ৭৩০ বর্গকিলোমিটারের এ শহর। দু’শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে পারস্য উপসাগরীয় ও আরব অঞ্চলের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ইরানের রাজধানী নগরী।

১৭৮৬ সালে কাজার সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে যাত্রা শুরু তেহরানের। ককেশাস অঞ্চলে ইরানি ভূখণ্ডের কাছাকাছি বলে তেহরানকে রাজধানী নগরী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কাজার সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম শাসক আগা মোহাম্মদ খান।

বহু ইতিহাসের সাক্ষী তেহরান থেকে ২৩৯ বছর পর রাজধানী সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে ইরান সরকার। এক কোটি ৬৮ লাখ মানুষের তেহরান মহানগরী ইরান ও পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর। রাজধানীকেন্দ্রিক জনসংখ্যা বিস্ফোরণের জেরে নগরের প্রাণ নিভু নিভু।

ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমি মোহাজিরানি বলেন, ‘রাজধানী স্থানান্তরের বিষয়টি নতুন নয়। বরং এ নিয়ে আলোচনা চলছে তিন দশকের বেশি সময় ধরে। প্রতিটি অঞ্চলে বসবাসযোগ্যতা নির্ভর করে সেটি কতদূর পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা সম্ভব, তার ওপর। তেহরানের ওপর ক্রমবর্ধনশীল জনসংখ্যার চাপ ভীষণ উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

প্রায় আড়াইশ’ বছরের জনসংখ্যার ভারে জীর্ণ তেহরানে পানি ও বিদ্যুতের মতো মৌলিক পরিষেবার অবস্থা ভীষণ ভঙ্গুর। সমস্যার সমাধান হিসেবে রাজধানী সরিয়ে নেয়াই বিকল্প মনে করছে ইরান সরকার। তেহরানের পর নতুন রাজধানী নিশ্চিতভাবেই হবে দক্ষিণের কোথাও; প্রাথমিকভাবে উপকূলীয় মাকরান অঞ্চলের কথা ভাবছে ইরান সরকার।

ফাতেমি মোহাজিরানি বলেন, ‘মাকরানের কথা আমরা ভাবছি। দু’টি পরিষদ আমরা গঠন করেছি। একটি পরিষদ রাজধানীর সম্ভাব্য সব সমস্যা পর্যালোচনা করছে। আরেকটি পরিষদ কাজ করছে সমুদ্র নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর। দু’টি পরিষদই মাকরান অঞ্চলে সকল সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।’

রাজধানী স্থানান্তরের ঘটনা ইরানের ইতিহাসে অবশ্য নতুন নয়। খ্রিস্টপূর্ব ৬৭৮ সাল থেকে পারস্য নামে পরিচিত ইরানের ৩২তম রাজধানী তেহরান। তাৎক্ষণিকভাবে না হলেও অচিরেই ৩৩তম রাজধানী পেতে যাচ্ছে ২৬শ’ বছরের পুরোনো দেশটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বদলে যাচ্ছে ইরানের রাজধানী?

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

আড়াইশ’ বছরের পুরোনো রাজধানী নগরী তেহরান আর থাকছে না ইরানের রাজধানী। সরে যেতে পারে দক্ষিণের উপকূলীয় মাকরান অঞ্চলে। একে দুশ’ বছরের জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, তার ওপর পানি ও বিদ্যুতের ঘাটতি। সমস্যার সমাধান হিসেবে রাজধানী সরিয়ে নেয়াই বিকল্প মনে করছে ইরান সরকার।

ইতিহাসের এক জীবন্ত উপাখ্যান তেহরান। বহু ঐতিহাসিক নিদর্শনের ভূমি মরুর বুক চিড়ে জেগে ওঠা ৭৩০ বর্গকিলোমিটারের এ শহর। দু’শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে পারস্য উপসাগরীয় ও আরব অঞ্চলের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ইরানের রাজধানী নগরী।

১৭৮৬ সালে কাজার সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে যাত্রা শুরু তেহরানের। ককেশাস অঞ্চলে ইরানি ভূখণ্ডের কাছাকাছি বলে তেহরানকে রাজধানী নগরী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কাজার সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম শাসক আগা মোহাম্মদ খান।

বহু ইতিহাসের সাক্ষী তেহরান থেকে ২৩৯ বছর পর রাজধানী সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে ইরান সরকার। এক কোটি ৬৮ লাখ মানুষের তেহরান মহানগরী ইরান ও পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর। রাজধানীকেন্দ্রিক জনসংখ্যা বিস্ফোরণের জেরে নগরের প্রাণ নিভু নিভু।

ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমি মোহাজিরানি বলেন, ‘রাজধানী স্থানান্তরের বিষয়টি নতুন নয়। বরং এ নিয়ে আলোচনা চলছে তিন দশকের বেশি সময় ধরে। প্রতিটি অঞ্চলে বসবাসযোগ্যতা নির্ভর করে সেটি কতদূর পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা সম্ভব, তার ওপর। তেহরানের ওপর ক্রমবর্ধনশীল জনসংখ্যার চাপ ভীষণ উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

প্রায় আড়াইশ’ বছরের জনসংখ্যার ভারে জীর্ণ তেহরানে পানি ও বিদ্যুতের মতো মৌলিক পরিষেবার অবস্থা ভীষণ ভঙ্গুর। সমস্যার সমাধান হিসেবে রাজধানী সরিয়ে নেয়াই বিকল্প মনে করছে ইরান সরকার। তেহরানের পর নতুন রাজধানী নিশ্চিতভাবেই হবে দক্ষিণের কোথাও; প্রাথমিকভাবে উপকূলীয় মাকরান অঞ্চলের কথা ভাবছে ইরান সরকার।

ফাতেমি মোহাজিরানি বলেন, ‘মাকরানের কথা আমরা ভাবছি। দু’টি পরিষদ আমরা গঠন করেছি। একটি পরিষদ রাজধানীর সম্ভাব্য সব সমস্যা পর্যালোচনা করছে। আরেকটি পরিষদ কাজ করছে সমুদ্র নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর। দু’টি পরিষদই মাকরান অঞ্চলে সকল সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।’

রাজধানী স্থানান্তরের ঘটনা ইরানের ইতিহাসে অবশ্য নতুন নয়। খ্রিস্টপূর্ব ৬৭৮ সাল থেকে পারস্য নামে পরিচিত ইরানের ৩২তম রাজধানী তেহরান। তাৎক্ষণিকভাবে না হলেও অচিরেই ৩৩তম রাজধানী পেতে যাচ্ছে ২৬শ’ বছরের পুরোনো দেশটি।