নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে খুব একটা লোকের সামনে আনেন না লিওনেল মেসি। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও খুব বেশি সক্রিয় থাকেন না তিনি। কিন্তু গত বছর আর্জেন্টাইন সাংবাদিক সোফি মার্টিনেজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়ায়। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর মার্টিনেজকে একটি আবেগঘন সাক্ষাৎকারে দিয়েছিলেন মেসি। তারপরেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। মার্টিনেজ সম্প্রতি এমন অভিযোগের জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে কথোপকথনের সময়, তিনি সাফ জানিয়ে দেন মেসির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। কীভাবে এই গুজব ছড়াল তাঁর ধারণা নেই বলেও মন্তব্য করেন মহিলা সাংবাদিক। লিওনেল মেসি ও অ্যান্টোনেলা রোকুজোর সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। কিশোর বয়স থেকেই একজন অপরজনকে ভালোবাসতেন। অবশেষে ২০১৭ সালে দুইজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে ৩ সন্তান রয়েছে তাঁদের।
সোফি অভিযোগ করেছেন, এই গুঞ্জন রটানোর পিছনে একমাত্র দায়ী সমর্থকরা। তিনি বলেন, ‘সব সময় খ্যাতি ভালো নয়। এই গুঞ্জনের জেরে আমার পরিবার সমস্যায় পড়েছে। এই বছর লোকে বিষয়টি নিয়ে যেন আরও বেশি কথা বলছে। বিষয়টা অনেকটা এরকম- কী ব্যাপার, সে তোমার দিকে ওইভাবে তাকিয়ে কেন। আমায় কোনও কিছুর মাঝে এমন ভাবে দেখা গিয়েছে যা আমায় স্পষ্ট করার জন্য বাধ্য হতে হয়েছে।’
এর আগে ২০২৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে সোফি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে মেসির স্ত্রী এমন কোনওরকম গুজব ছড়াননি। তিনি বলেছিলেন, ‘ না, একেবারেই না। আমি জানি না এগুলি কীভাবে রটেছে। আমি অ্যান্টোনেলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। সে যে ভাবে এই বিষয়গুলির সঙ্গে মোকাবিলা করে তার জন্য আমি তাকে খুব সম্মান করি। যেই পারিবারিক জীবন তারা বজায় রাখে তা দেখে আমার খুব ভালো লাগে। তারা যেই ভাবে জীবনযাপন করে তা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগে।’
উল্লেখ্য, মেসি এবং অ্যান্টোনেলা কিশোর বয়স থেকেই একে অপরকে চেনেন, কিন্তু ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ডেটিং শুরু করেন। তাঁরা ২০১৭ সালে তাঁদের নিজেদের শহর রোজারিওতে বিয়ে করেন। আর্জেন্টাইন তারকা ২০০৯ সালে একটি সাক্ষাৎকারে প্রথম সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তারপর এক মাস পরে একটি কার্নিভালে দু’জনে একসঙ্গে প্রকাশ্যে আসেন।