ডলার বাজারের অস্থিরতার জন্য এগ্রিগেটাররা দায়ী: গভর্নর
- আপডেট সময় : ০১:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
সম্প্রতি ডলার বাজারের অস্থিরতার জন্য বিদেশি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর জোট বা এগ্রিগেটারদের দায়ী করলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
আজ (শনিবার, ১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক ব্যাংকিং রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানান তিনি।
রেমিট্যান্স হাউজগুলোর এই সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমাতে সরকার ও নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর মাধ্যমে অর্থ না পাঠিয়ে যদি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পাঠায়, তাহলে এগ্রিগেটারদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘গেল ছয় মাসে দেশের অর্থ পাচার বন্ধ হওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরছে।’
এছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলেও জানান ড. আহসান এইচ মনসুর। বর্তমানে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এখনো চার মাস চলার মতো রিজার্ভ আছে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।’ তবে তিনি সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। বলেন, টাকা পাচার ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফেরায় অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে।
তিনি প্রবাসীদের সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, দুবাই এখন সৌদি আরবকে পিছনে ফেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষে পৌঁছেছে, যা একটি উদ্বেগের বিষয়। কারণ, সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই যায় এবং সেখান থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়, ফলে কিছু প্রতিষ্ঠান মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ে কারসাজি করতে পারে।
ড. আহসান এইচ মুনসুর জানান, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা একক মাস হিসাবে পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ রেকর্ড। ২০২৪ সালে দেশে মোট ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ২২.৬৮ শতাংশ বেশি।