নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার প্রকাশ্যে আনলো ইরান
- আপডেট সময় : ০৪:৩৭:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার প্রকাশ্যে আনলো ইরান। আকাশ প্রতিরক্ষায় নতুন অস্ত্রের মহড়া চালানোর চারদিনের মাথায় এ পদক্ষেপ তেহরানের। ইসরাইলি আগ্রাসনের বিপরীতে চলতি মাসজুড়ে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনে ব্যস্ত মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটি।
মধ্যপ্রাচ্যে অন্যতম বড় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ অস্ত্রভাণ্ডার পশ্চিমাবিরোধী ইরানের। যুক্তরাষ্ট্রের ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের অস্ত্রভাণ্ডারে শুধু ব্যালিস্টিক মিসাইলই আছে তিন হাজার।
পশ্চিমা আধিপত্যে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও বিশ্ব অর্থনীতিতে কোণঠাসা ইরান নিজস্ব নির্মিত অস্ত্রভাণ্ডার নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের উদ্বেগের কারণ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চিরশত্রু ইসরাইলের আগ্রাসনের জবাবে নতুন করে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা প্রমাণে ব্যস্ত ইরান। গেলো অক্টোবরেই ইরানের ভেতরে হামলা চালিয়ে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষায় আঘাত হানার দাবি করে ইসরাইল।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের ছবি প্রকাশ করে ইরানের অভিজাত সশস্ত্র বাহিনী আইআরজিসি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত এসব ছবি ও ভিডিও কবে বা কোথায় ধারণকৃত, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে নিঃসন্দেহেই ইরানের অস্ত্রভাণ্ডার যে দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে, তা প্রমাণেই এ পদক্ষেপ তেহরানের।
আইআরজিসির কমান্ডার হোসেন সালামি বলেন, ‘এই ভূমির প্রতিটি প্রান্তে প্রতিদিনই সমরাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। হয়তো শত্রুপক্ষ ভেবেছিল যে আমাদের শক্তিবৃদ্ধি থমকে গেছে। কিন্তু আমাদের আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ একদম সঠিক গতিতেই চলছে।’
এর আগে গেলো মঙ্গলবারই আকাশ প্রতিরক্ষায় নতুন অস্ত্রের মহড়া চালায় ইরানের সেনাবাহিনী। দক্ষিণের ইস্পাহান প্রদেশে অনুষ্ঠিত ও মহড়ায় প্রদর্শিত হয় অস্ত্রভাণ্ডারে মজুত বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার। ইসরাইলি আগ্রাসনের বিপরীতে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনে চলতি মাসজুড়ে নিজেদের স্থল, জল ও আকাশসীমায় মহড়া চালাবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটি।
হোসেন সালামি আরো বলেন, ‘আমাদের শক্তির যতো ক্ষেত্র আছে, সবগুলোই দিন দিন উন্নত হচ্ছে। কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্র, এর ধারণক্ষমতা আর সক্ষমতা প্রতিদিনই পরিমাণে, গুণগত মানে ও নকশায়, শক্তিতে, দক্ষতায় যেভাবে বাড়ছে এবং উন্নত হচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
শুক্রবার রাজধানী তেহরানে রণকৌশল প্রদর্শন করে এক লাখের বেশি সেনাসদস্য। শনিবার হরমুজ প্রণালীতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতা প্রদর্শন করে ৩শ’ সাঁজোয়া নৌযান। ১৮ থেকে ২৩ জানুয়ারি পারস্য উপসাগরে অনুষ্ঠেয় অনুশীলন এবং ২৭ জানুয়ারি সমুদ্রপথে আইআরজিসি’র এযাবতকালের সবচেয়ে বড় নেভাল প্যারেডসহ বাকি আছে কয়েক ধাপের মহড়া।