ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দিল্লি সঙ্গে কাবুলের সুসম্পর্কের নতুন মাত্রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি হওয়া বৈঠকের পর প্রশ্ন উঠেছে তালেবান সরকারের সাথে কেনো সম্পর্ক গভীর করার পথে এগুচ্ছে দিল্লি। তাও আবার, যখন পাকিস্তানের সাথে তালেবানের সম্পর্ক তলানিতে। এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কাবুলকে ব্যবহার করে ইসলামাবাদের দিল্লিবিরোধী হুমকি ঠেকাতে তালেবানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ছে ভারত।

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবানের সাথে নানা ইস্যুতে বিরোধ রয়েছে ভারত সরকারের। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রত্যাবর্তনের পর আজও তাদের স্বীকৃতি দেয়নি দিল্লি।

এতদিন আনুষ্ঠানিক দূরত্ব থাকলেও তালেবান সরকারের ঘনিষ্ঠ হতে কাবুলের সাথে সম্পর্ক জোরদারের তৎপরতা বাড়িয়েছে দিল্লি। সম্প্রতি আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে দুবাইয়ে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।

এদিকে পাকিস্তানের সাথে বৈরিতা চরমে তালেবানের। গত ডিসেম্বরে সীমান্ত লাগোয়া আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাকটিকা প্রদেশে পাকিস্তানি বিমান হামলায় কমপক্ষে অর্ধশত নিহত হওয়ার পর ফুঁসে ওঠে তালেবান সরকার। পরে তাদের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের ১৯ সেনা সদস্য নিহত হয়। এতেই অঞ্চলটিতে ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে।

এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, কেন তালেবানকে বন্ধু করতে চাইছে ভারত? আল-জাজিরা বলছে- গেল ডিসেম্বরে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের বৈরিতা চরমে পৌঁছানোর ঠিক এক মাস আগে মুম্বাইয়ের আফগান কনস্যুলেটে ইকরাম উদ্দিন কামিল নামে একজনকে ভারপ্রাপ্ত কনসাল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তালেবান।

নয়াদিল্লির জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের সহযোগী অধ্যাপক রাঘব শর্মার গবেষণা তথ্য বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই আফগানিস্তানকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখে আছে ভারত। কারণ আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে পাকিস্তানের হুমকি ঠেকাতে সহজ হবে দিল্লির।

সাহায্য ও পুনর্গঠন কাজের জন্য গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে ভারত। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

দিল্লি সঙ্গে কাবুলের সুসম্পর্কের নতুন মাত্রা

আপডেট সময় : ০৫:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি হওয়া বৈঠকের পর প্রশ্ন উঠেছে তালেবান সরকারের সাথে কেনো সম্পর্ক গভীর করার পথে এগুচ্ছে দিল্লি। তাও আবার, যখন পাকিস্তানের সাথে তালেবানের সম্পর্ক তলানিতে। এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কাবুলকে ব্যবহার করে ইসলামাবাদের দিল্লিবিরোধী হুমকি ঠেকাতে তালেবানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ছে ভারত।

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবানের সাথে নানা ইস্যুতে বিরোধ রয়েছে ভারত সরকারের। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রত্যাবর্তনের পর আজও তাদের স্বীকৃতি দেয়নি দিল্লি।

এতদিন আনুষ্ঠানিক দূরত্ব থাকলেও তালেবান সরকারের ঘনিষ্ঠ হতে কাবুলের সাথে সম্পর্ক জোরদারের তৎপরতা বাড়িয়েছে দিল্লি। সম্প্রতি আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে দুবাইয়ে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।

এদিকে পাকিস্তানের সাথে বৈরিতা চরমে তালেবানের। গত ডিসেম্বরে সীমান্ত লাগোয়া আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাকটিকা প্রদেশে পাকিস্তানি বিমান হামলায় কমপক্ষে অর্ধশত নিহত হওয়ার পর ফুঁসে ওঠে তালেবান সরকার। পরে তাদের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের ১৯ সেনা সদস্য নিহত হয়। এতেই অঞ্চলটিতে ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে।

এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, কেন তালেবানকে বন্ধু করতে চাইছে ভারত? আল-জাজিরা বলছে- গেল ডিসেম্বরে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের বৈরিতা চরমে পৌঁছানোর ঠিক এক মাস আগে মুম্বাইয়ের আফগান কনস্যুলেটে ইকরাম উদ্দিন কামিল নামে একজনকে ভারপ্রাপ্ত কনসাল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তালেবান।

নয়াদিল্লির জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের সহযোগী অধ্যাপক রাঘব শর্মার গবেষণা তথ্য বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই আফগানিস্তানকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখে আছে ভারত। কারণ আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে পাকিস্তানের হুমকি ঠেকাতে সহজ হবে দিল্লির।

সাহায্য ও পুনর্গঠন কাজের জন্য গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে ভারত। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।