ঢাকা ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বঙ্গোপসাগরের বুকে নতুন দ্বীপ ‘চর হেয়ার’

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা অনিন্দ সুন্দর এক ছোট্ট চর- পটুয়াখালীর চর হেয়ার। স্থানীয়দের কাছে কলাগাছিয়ার চর হিসেবে পরিচিত এই চরটি পর্যটকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পরিচ্ছন্ন আর নির্ঝঞ্জাট এই চরে রয়েছে চার কিলোমিটার দীর্ঘ বালুকাময় সৈকত। সম্প্রতি কুয়াকাটা থেকে এই চরে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। বর্তমানে এখানে পর্যটকদের রাত্রি যাপনের জন্য তাবুসহ অনান্য সুযোগ সুবিধাও রয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের বুকে ৪০৩ হেক্টর এলাকা নিয়ে জেগে ওঠা চর হেয়ারের পূর্বপাশে রয়েছে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভূমি সোনারচর। পশ্চিমে চর তুফানিয়া, উত্তরে টাইগার দ্বীপ এবং এর পাশে আছে চর কাশেম।

চর হেয়ার এর রয়েছে চার কিলোমিটার দীর্ঘ বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। যার মধ্যে ১৭৮ দশমিক ছয় আট হেক্টর এলাকায় রয়েছে বনভূমি। বাকি স্থানে আছে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারের বসতবাড়ি-কৃষি জমিসহ মাছের ঘের। সম্প্রতী এই চরে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একটি এনজিও।

কুয়াকাটা থেকে সাগরে পথে এই চরের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। আর রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে চরটির দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। কুয়াকাটা থেকে পর্যটকরা ইঞ্জিন চালিত ট্রলার কিংবা স্পিড বোটে করে সহজেই চর হেয়ারে আসতে পারেন। সেখান থেকে সোনার চর কিংবা চর মন্তাজের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে আবার চরমন্তাজ থেকে লঞ্চ যোগে ঢাকায় ফেরার সুযোগ রয়েছে। একইভাবে ঢাকা থেকে সরাসরি ডাবল ডেকার লঞ্চে করে চরমন্তাজ হয়ে চর হেয়ার ঘুরে কুয়াকাটা থেকে ঢাকার ফিরতে পারেন পর্যটকরা।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন জানালেন, বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা এ ধরনের দ্বীপ ও চর গুলোতে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বঙ্গোপসাগরের বুকে নতুন দ্বীপ ‘চর হেয়ার’

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা অনিন্দ সুন্দর এক ছোট্ট চর- পটুয়াখালীর চর হেয়ার। স্থানীয়দের কাছে কলাগাছিয়ার চর হিসেবে পরিচিত এই চরটি পর্যটকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পরিচ্ছন্ন আর নির্ঝঞ্জাট এই চরে রয়েছে চার কিলোমিটার দীর্ঘ বালুকাময় সৈকত। সম্প্রতি কুয়াকাটা থেকে এই চরে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। বর্তমানে এখানে পর্যটকদের রাত্রি যাপনের জন্য তাবুসহ অনান্য সুযোগ সুবিধাও রয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের বুকে ৪০৩ হেক্টর এলাকা নিয়ে জেগে ওঠা চর হেয়ারের পূর্বপাশে রয়েছে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভূমি সোনারচর। পশ্চিমে চর তুফানিয়া, উত্তরে টাইগার দ্বীপ এবং এর পাশে আছে চর কাশেম।

চর হেয়ার এর রয়েছে চার কিলোমিটার দীর্ঘ বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। যার মধ্যে ১৭৮ দশমিক ছয় আট হেক্টর এলাকায় রয়েছে বনভূমি। বাকি স্থানে আছে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারের বসতবাড়ি-কৃষি জমিসহ মাছের ঘের। সম্প্রতী এই চরে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একটি এনজিও।

কুয়াকাটা থেকে সাগরে পথে এই চরের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। আর রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে চরটির দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। কুয়াকাটা থেকে পর্যটকরা ইঞ্জিন চালিত ট্রলার কিংবা স্পিড বোটে করে সহজেই চর হেয়ারে আসতে পারেন। সেখান থেকে সোনার চর কিংবা চর মন্তাজের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে আবার চরমন্তাজ থেকে লঞ্চ যোগে ঢাকায় ফেরার সুযোগ রয়েছে। একইভাবে ঢাকা থেকে সরাসরি ডাবল ডেকার লঞ্চে করে চরমন্তাজ হয়ে চর হেয়ার ঘুরে কুয়াকাটা থেকে ঢাকার ফিরতে পারেন পর্যটকরা।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন জানালেন, বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা এ ধরনের দ্বীপ ও চর গুলোতে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা।