ঢাকা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আসরের প্রথম জয় ঢাকা ক্যাপিটালসের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লিটন দাস আর তানজিদ তামিমের রেকর্ড বন্যার দিনে বিপিএলে হারের গেরো খুললো ঢাকা ক্যাপিটালস। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে আসরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়ে, সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়লো দলটি। একইদিনে ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সও।

বিপিএলে যেন রেকর্ড ভাঙার মিশনে নেমেছিলেন লিটন দাস আর তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের শুরু থেকেই তাণ্ডব শুরু করেন তারা। একের পর এক বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে মাতিয়ে তোলেন সিলেট। ৮ চার আর ৭ ছক্কায় মাত্র ৪৪ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন লিটন। যা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম।

কম যান না জুনিয়র তামিমও। ৬২ বলে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। দু’জন মিলে গড়েন ২৪১ রানের জুটি। বিপিএল তো বটেই, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ইতিহাসেই এর আগে এত রানের জুটি দেখেনি ক্রিকেটবিশ্ব।

শেষ ওভারে তামিম বিদায় নিলেও যে ভিত গড়ে দিয়েছেন তাতে ২৫৪ রানের পাহাড় গড়ে ঢাকা। যা কিনা আবার বিপিএলের ইতিহাসেই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

জবাব দিতে নেমে ঠিক বিপরীতমুখী শুরু পায় রাজশাহী। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারেই তারা হারায় ৪ উইকেট। রায়ান বার্ল ছাড়া বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৫ রানে।

রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়ার ম্যাচে হারের ব্যবধানেও রেকর্ড হয়েছে। রাজশাহী হেরেছে ১৪৯ রানে। এর আগে সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড ছিল চট্টগ্রামের, ১১৯ রানের।

এদিকে দিনের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ রাকিম কর্নওয়াল ও তিনে নামা জর্জ মানসে। তবে দলটির ওপেনার রনি তালুকদার ৪৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে আসে পাঁচটি চার ও দু’টি ছক্কার শট।

চারে নেমে জাকির হাসান ওই ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দেন। তার ব্যাট থেকে ৪৬ বলে ৭৫ রানের দারুণ ইনিংস আসে। তিনি ছয়টি ছক্কার শট খেলেন। চার মারেন তিনটি। শেষ দিকে অ্যারন জোনস ৬ বলে ২০ ও অধিনায়ক আরিফুল ১৩ বলে ২১ রান করলে লড়াই করার পুঁজি পায় সিলেট।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করলেও বড় জুটি করতে পারেননি খুলনার দুই ওপেনার । দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ৯ বলে ১১ রান করে নাহিদুলকে উইকেট দেন মোহাম্মদ নাঈম। ওয়ানডাউনে নামা ইমরুল ও অধিনায়ক মিরাজও স্কোরটা বড় করতে পারেননি। টপ অর্ডারে বলার মতো স্কোর করেন দলটির ওপেনার উইলিয়ামস বসিস্টো। তার ব্যাটে আসে ৪০ বলে ৪৩।

মোহাম্মদ নওয়াজ ও মাহিদুল অঙ্কন ৩২ রানের জুটিতে জয়ের সম্ভাবনা জাগে গড়েন। নওয়াজের বিদায়ের পর জিয়াউর রহমানও ফেরেন দ্রুতই। অঙ্কনের ১৬ বলে ২৮ ও আবু হায়দার রনির ১৪ রান করেন রানের ক্যামিও শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৭৪ রানেই থামে টাইগার্সের ইনিংস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আসরের প্রথম জয় ঢাকা ক্যাপিটালসের

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

লিটন দাস আর তানজিদ তামিমের রেকর্ড বন্যার দিনে বিপিএলে হারের গেরো খুললো ঢাকা ক্যাপিটালস। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে আসরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়ে, সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়লো দলটি। একইদিনে ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সও।

বিপিএলে যেন রেকর্ড ভাঙার মিশনে নেমেছিলেন লিটন দাস আর তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের শুরু থেকেই তাণ্ডব শুরু করেন তারা। একের পর এক বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে মাতিয়ে তোলেন সিলেট। ৮ চার আর ৭ ছক্কায় মাত্র ৪৪ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন লিটন। যা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম।

কম যান না জুনিয়র তামিমও। ৬২ বলে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। দু’জন মিলে গড়েন ২৪১ রানের জুটি। বিপিএল তো বটেই, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ইতিহাসেই এর আগে এত রানের জুটি দেখেনি ক্রিকেটবিশ্ব।

শেষ ওভারে তামিম বিদায় নিলেও যে ভিত গড়ে দিয়েছেন তাতে ২৫৪ রানের পাহাড় গড়ে ঢাকা। যা কিনা আবার বিপিএলের ইতিহাসেই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

জবাব দিতে নেমে ঠিক বিপরীতমুখী শুরু পায় রাজশাহী। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারেই তারা হারায় ৪ উইকেট। রায়ান বার্ল ছাড়া বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৫ রানে।

রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়ার ম্যাচে হারের ব্যবধানেও রেকর্ড হয়েছে। রাজশাহী হেরেছে ১৪৯ রানে। এর আগে সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড ছিল চট্টগ্রামের, ১১৯ রানের।

এদিকে দিনের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ রাকিম কর্নওয়াল ও তিনে নামা জর্জ মানসে। তবে দলটির ওপেনার রনি তালুকদার ৪৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে আসে পাঁচটি চার ও দু’টি ছক্কার শট।

চারে নেমে জাকির হাসান ওই ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দেন। তার ব্যাট থেকে ৪৬ বলে ৭৫ রানের দারুণ ইনিংস আসে। তিনি ছয়টি ছক্কার শট খেলেন। চার মারেন তিনটি। শেষ দিকে অ্যারন জোনস ৬ বলে ২০ ও অধিনায়ক আরিফুল ১৩ বলে ২১ রান করলে লড়াই করার পুঁজি পায় সিলেট।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করলেও বড় জুটি করতে পারেননি খুলনার দুই ওপেনার । দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ৯ বলে ১১ রান করে নাহিদুলকে উইকেট দেন মোহাম্মদ নাঈম। ওয়ানডাউনে নামা ইমরুল ও অধিনায়ক মিরাজও স্কোরটা বড় করতে পারেননি। টপ অর্ডারে বলার মতো স্কোর করেন দলটির ওপেনার উইলিয়ামস বসিস্টো। তার ব্যাটে আসে ৪০ বলে ৪৩।

মোহাম্মদ নওয়াজ ও মাহিদুল অঙ্কন ৩২ রানের জুটিতে জয়ের সম্ভাবনা জাগে গড়েন। নওয়াজের বিদায়ের পর জিয়াউর রহমানও ফেরেন দ্রুতই। অঙ্কনের ১৬ বলে ২৮ ও আবু হায়দার রনির ১৪ রান করেন রানের ক্যামিও শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৭৪ রানেই থামে টাইগার্সের ইনিংস।