সশস্ত্র বাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা আরও ২ মাস বাড়ল
- আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে আরও ৬০ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমার্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের সারা বাংলাদেশে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এই ক্ষমতা ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের।
এরপর ১৬ নভেম্বর সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা দুই মাস শেষ হওয়া তা আবারও বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাগণকে (কোস্টগার্ড ও বিজিবি-তে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত তারা এ ক্ষমতা পাবেন।
সম্প্রতি শেষ হয় সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগের নির্ধারিত সেই সময়। এরপর আজকের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আবারও ২ মাসের জন্য বিচারিক ক্ষমতা পেল সশস্ত্র বাহিনী।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারাদেশে সেনা মোতায়েন ও কারফিউ জারি করে পদচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যত্থানে আওয়ামী লীগের পতন হলে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনও সারাদেশে সেনা মোতায়েন আছে।