লেবাননের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বৈরুত এবং দামেস্ক একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়া সমুদ্র ও সীমান্ত এলাকা চিহ্নিত করা হবে। খবর আল আজিরা
দীর্ঘ ১৫ বছর পর পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়া সফরে গেলেন লেবানন প্রধানমন্ত্রী। সফরে তিনি সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানী দামেস্কে এক কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় আল-শারা বলেন, তারা সীমান্তে চোরাচালন, নিরাপত্তা এবং লেবাননের ব্যাংকে সিরিয়ার আমানত নিয়ে আলোচনা করেছেন। শারা আশাবাদ ব্যক্ত করে আরও বলেন, চলমান সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে তার দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার পরে তিনি লেবাননের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।
আল-শারা আরও যোগ করেন, সিরিয়া এবং লেবানন উভয়ই এ বিষয়ে আগ্রহী। এছাড়া একে অপরকে সহযোগিতায় তারা বদ্ধ পরিকর।
লেবাননে প্রায় ১৫ লাখ সিরীয় শরণার্থী রয়েছে। ২০১১ সালে দেশটিতে গৃহ যুদ্ধ শুরু হলে নিরাপত্তার জন্য অনেকে পালিয়ে লেবাননে আশ্রয় নেন। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চলা যুদ্ধে দেশটিতে ৫ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছেন।
এদিকে লেবাননের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, সিরিয়ার সঙ্গে গুরুতর ও ন্যায়সঙ্গত সংলাপের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ রয়েছে।