যেভাবে শপথ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
- আপডেট সময় : ০৩:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতাদের। এবারই প্রথমবারের মতো রীতি ভেঙে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান এই নেতার ট্রানজিশন শিবির জানায়, ট্রাম্প তাঁর শপথ অনুষ্ঠানকে বিশ্বমঞ্চ বানাতে চান।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্প নিজেই তাঁর আসন্ন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য ১৭ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ চাঁদা সংগ্রহ করে ফেলেছেন। দেশের বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি, বৃহৎ পুঁজিপতিরা উৎসবের খরচ বাবদ মোটা অঙ্কের চেক দিয়েছেন ট্রাম্পকে।
সব মিলিয়ে আগামী ২০ জানুয়ারি জুনিয়র মার্টিন লুথার কিং দিবসের ছুটির দিনে শপথ নেবেন ট্রাম্প। আমেরিকায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয় প্রতি চার বছর অন্তর ২০ জানুয়ারি অথবা রোববার পড়লে ২১ জানুয়ারি। এবার ২০ জানুয়ারি পড়েছে সোমবার। এইদিন আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে মূল অনুষ্ঠান হবে। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় মার্কিন টিভি চ্যানেলগুলোতে সরাসরি দেখা যাবে অনুষ্ঠান। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাইনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের আগে শপথ নেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। এবার ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন জেডি ভ্যান্স। ওই দিন দিনের শুরুতে একটি মিছিল করে সবাই ইউএস ক্যাপিটলে ঢুকবেন। সেই মিছিলে থাকেন বিদায়ী প্রেসিডেন্টসহ তাঁর মন্ত্রিপরিষদ এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও তাঁর হবু মন্ত্রীরা। ডান হাত উঁচু করে বাঁ হাত বাইবেলের ওপর রেখে শপথ নেন প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সাধারণত প্রেসিডেন্টের স্ত্রী বাইবেলটি ধরে রাখেন। এরপর নতুন প্রেসিডেন্ট একটি ভাষণ দেন। এরপর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের সম্মানে হেলিকপ্টারে স্ত্রীকে নিয়ে ঠিকানা বদল করেন তাঁরা।
এরপর নতুন প্রেসিডেন্ট ওভাল অফিসে নিজের ঘরে গিয়ে বসেন এবং কাগজপত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে সই করে দায়িত্বভার নেন। এরপর ভাইস প্রেসিডেন্টসহ অন্যান্য অতিথির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন। সাধারণত এই ভোজে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের নিজস্ব প্রাদেশিক রান্নাবান্না হয়। খাওয়াদাওয়ার শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইস্টফ্রন্ট স্টেপে গিয়ে সেনাদলের সঙ্গে মিলিত হন এবং তারপরেই পেনসিলভেনিয়া এভিনিউ থেকে হোয়াইট হাউস পর্যন্ত তাঁরা একটি প্যারেডে অংশ নেন।
জানা গেছে, এবার ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বহু স্বনামধন্য ব্যক্তিকে। তাঁর মধ্যে রয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রিপাবলিকানদের অপপ্রচার উড়িয়ে বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে তিনি অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন। ট্রাম্প আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকেও। তবে শি নিজে না এসে তাঁর একটি প্রতিনিধিদল থাকতে পারে অনুষ্ঠানে।
এছাড়া আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইরেও থাকার কথা রয়েছে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে। আমন্ত্রণ করা হয়েছে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিক, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কিকেও।