ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ১৭ বছর ধরে এই মামলায় কারাবন্দি তিনি; আরও ৮ জন খালাস পেয়েছে, উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ ৫ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড :::: লুৎফুজ্জামান বাবর আজই মুক্তি পেতে পারেন: আইনজীবী :::: প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন: ইসি সচিব :::: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে করা আপিলের রায় বুধবার; এফআইআর সঠিক ছিল না, শুনানিতে তা তুলে ধরা হয়েছে: আইনজীবী জয়নুল আবেদীন

স্থাপনের ২০ বছরেও চালু হয়নি বিরল স্থলবন্দর

দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৩১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রায় ২০ বছর আগে স্থাপিত হলেও, চালু হয়নি দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সহজ করতে ২০০৫ সালে স্থাপন করা হয় বন্দরটি। তবে শেডে রেলের সংযোগ এবং সড়ক পথে ভারতে বাণিজ্যের অনুমতি না পাওয়ায় কোনো কাজেই আসছে না সড়ক-রেলপথের সমম্বয়ে এ বন্দরটি।

জানা গেছে, রেল ও সড়ক পথে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে ২০০৫ সালে শুরু হয় বিরল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। ২৫ বছরের জন্য পরিচালনার দায়িত্ব পায় বিরল ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেড। ২০০৬ সালে সীমান্তের ওপারে রাধিকাপুর পর্যন্ত এবং ২০১১ সালে পার্বতীপুর থেকে বিরল সীমান্ত পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হয়। ২০১৭ সালে ওই রেলপথে শুরু হয় বাণিজ্য। নির্মাণ করা হয় সড়ক, ইমিগ্রেশন ও শুল্ক স্টেশনের অবকাঠামো। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চালুই হয়নি বন্দরটি।

এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এটার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ আমরা যদি রেলে মাল নিয়ে আসি তাহলে আমাদের খরচ কম পড়বে এবং আমরা কম মূল্যে ভোক্তাদের কাছে পণ্য পৌঁছাতে পারব।’

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই পোর্টটি চালু হলে আমাদের এলাকার ব্যবসায়ীদের উন্নতি হবে। এলাকার উন্নয়ন হবে।’

আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি মনে করে এটি হিলির চেয়েও অনেক বেশি কার্যকর হবে এটি।’

বিরল স্থলবন্দর চালু হলে এর মাধ্যমে বাংলাদেশে, ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চার দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ হবে। তৈরি হবে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান।

বিরল ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন বলেন, ‘এটি দিনাজপুর শহরের একেবারে সন্নিকটে। যার জন্য এটি হলে শহরের যে একটি কর্মচাঞ্চল্য আসবে তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এই বিরল স্থলবন্দর।’

কম খরচে পণ্য পরিবহনে বন্দরটির কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করতে সরকারের প্রতি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্থাপনের ২০ বছরেও চালু হয়নি বিরল স্থলবন্দর

আপডেট সময় : ০৩:৩১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

প্রায় ২০ বছর আগে স্থাপিত হলেও, চালু হয়নি দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সহজ করতে ২০০৫ সালে স্থাপন করা হয় বন্দরটি। তবে শেডে রেলের সংযোগ এবং সড়ক পথে ভারতে বাণিজ্যের অনুমতি না পাওয়ায় কোনো কাজেই আসছে না সড়ক-রেলপথের সমম্বয়ে এ বন্দরটি।

জানা গেছে, রেল ও সড়ক পথে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে ২০০৫ সালে শুরু হয় বিরল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। ২৫ বছরের জন্য পরিচালনার দায়িত্ব পায় বিরল ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেড। ২০০৬ সালে সীমান্তের ওপারে রাধিকাপুর পর্যন্ত এবং ২০১১ সালে পার্বতীপুর থেকে বিরল সীমান্ত পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হয়। ২০১৭ সালে ওই রেলপথে শুরু হয় বাণিজ্য। নির্মাণ করা হয় সড়ক, ইমিগ্রেশন ও শুল্ক স্টেশনের অবকাঠামো। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চালুই হয়নি বন্দরটি।

এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এটার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ আমরা যদি রেলে মাল নিয়ে আসি তাহলে আমাদের খরচ কম পড়বে এবং আমরা কম মূল্যে ভোক্তাদের কাছে পণ্য পৌঁছাতে পারব।’

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই পোর্টটি চালু হলে আমাদের এলাকার ব্যবসায়ীদের উন্নতি হবে। এলাকার উন্নয়ন হবে।’

আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি মনে করে এটি হিলির চেয়েও অনেক বেশি কার্যকর হবে এটি।’

বিরল স্থলবন্দর চালু হলে এর মাধ্যমে বাংলাদেশে, ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চার দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ হবে। তৈরি হবে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান।

বিরল ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন বলেন, ‘এটি দিনাজপুর শহরের একেবারে সন্নিকটে। যার জন্য এটি হলে শহরের যে একটি কর্মচাঞ্চল্য আসবে তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এই বিরল স্থলবন্দর।’

কম খরচে পণ্য পরিবহনে বন্দরটির কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করতে সরকারের প্রতি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।