ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপাটাও তাদেরই দখলে। একদিনের ক্রিকেটে অর্জনের ষোলোকলা পূর্ণ করতে বাকি শুধু একটা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। আগামী মাসে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাওয়া এ প্রতিযোগিতার শিরোপা পুনরুদ্ধার করে সে অপূর্ণতা ঘোচানোর মিশনে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এর আগে দুবার (২০০৬ ও ২০০৯) শিরোপা জিতেছে তাসমান পাড়ের দেশটি। মজার বিষয়, দুবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গায়ে ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের তকমা লেগে থাকার সময়ই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ১৫ বছরের আক্ষেপ কি তবে এবার পূরণ হবে অস্ট্রেলিয়ার?
তৃতীয়বারের মতো এ শিরোপা ঘরে তোলার মিশনে অনুমিতভাবে নেতৃত্বের ভারটা প্যাট কামিন্সের ওপরই দিয়েছে সিএ। অবশ্য আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে দলে নেই অস্ট্রেলিয়ান পেসার। এ মুহূর্তে পিতৃকালীন ছুটিতে আছেন কামিন্স। পাশাপাশি এ ছুটির সময়ই গোড়ালির চোটের স্ক্যান করানোর কথা অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের।
কামিন্সের মতো হ্যাজলউডও শ্রীলঙ্কা সফরের দলে না থেকেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা পেয়েছেন। হ্যাজলউড অবশ্য মাসলের সমস্যায় ভুগছেন বলে তাঁকে লঙ্কা সফরের দলে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে অস্ট্রেলিয়া দলে চমক বলতে মার্কাস স্টয়নিসের জায়গা পাওয়া। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ৩৫ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার মোটে ১টি ওয়ানডে খেলেছেন। গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সে ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৫ বলে ৮ রান করার পর বল হাতেও উইকেটশূন্য ছিলেন স্টয়নিস।
এছাড়া প্রথমবারে মতো আইসিসির কোনো মেজর টুর্নামেন্ট খেলবেন অ্যারন হার্ডি ও ম্যাথু শর্টের মতো তরুণরা। পাশাপাশি ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্কের মতো অভিজ্ঞরা তো আছেনই। পেসারদের আধিক্যের মাঝে একমাত্র স্পিনার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা।
অস্ট্রেলিয়া দল প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘এই দলটা বেশ ভারসাম্যপূর্ণ আর অভিজ্ঞ। দলের পুরোনো ক্রিকেটারদের অনেকেই ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছে, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজেও গেছে। এছাড়াও গত বছরের ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তান সিরিজেও এই স্কোয়াডের অনেকে খেলেছে। পাকিস্তানে যে ধরনের কন্ডিশন, সেই অনুযায়ী এই দলে অনেক বিকল্প আছে।’
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ২৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে প্যাট কামিন্সের দল।
অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল:
প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যালেক্স ক্যারি, নাথান এলিস, অ্যারন হার্ডি, জশ হ্যাজলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, মারনাস লাবুশেন, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু শর্ট, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস ও অ্যাডাম জাম্পা।