ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যুদ্ধবিরতির পরও ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়িতে ফিরতে পারছে না লেবানিজরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লেবাননের হাজার হাজার ঘরবাড়ি। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরতে পারছে না বাসিন্দারা।

বাসিন্দারা নিজেদের বাসস্থানে ফিরতে চাইলেও ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ চলছে ধীরগতিতে। তাছাড়া চুক্তির সব শর্ত পূরণ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের পাশাপাশি বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠের অবকাঠামো প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের নভেম্বরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির আগে লেবাননের অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৪০ কোটি ডলার। যুদ্ধের ফলে লেবাননের মোট অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৮৫০ কোটি ডলার।

নভেম্বরের শেষে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তি অনুসারে, লেবাননের দক্ষিণে থাকা ইসরায়েলি বাহিনী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা। তবে এটি কার্যকর হওয়া নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সেইসঙ্গে ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ ব্যয়ের খরচ কারা দেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। অর্থনৈতিক অচলাবস্থার কারণে দেশটির সরকারি সহায়তা খুবই কম হতে পারে বলে ধারণা করছেন বাসিন্দারা।

এর আগে ২০০৬ সালে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এক মাসব্যাপী যুদ্ধ হয়েছিল। সে সময় ইরানের সহায়তায় ২৮০ কোটি ডলার মূল্যের পুনর্নির্মাণ খরচের বেশির ভাগ বহন করেছিল হিজবুল্লাহ। এবারো এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধবিরতির পরও ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়িতে ফিরতে পারছে না লেবানিজরা

আপডেট সময় : ০৩:২০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লেবাননের হাজার হাজার ঘরবাড়ি। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরতে পারছে না বাসিন্দারা।

বাসিন্দারা নিজেদের বাসস্থানে ফিরতে চাইলেও ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ চলছে ধীরগতিতে। তাছাড়া চুক্তির সব শর্ত পূরণ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের পাশাপাশি বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠের অবকাঠামো প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের নভেম্বরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির আগে লেবাননের অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৪০ কোটি ডলার। যুদ্ধের ফলে লেবাননের মোট অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৮৫০ কোটি ডলার।

নভেম্বরের শেষে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তি অনুসারে, লেবাননের দক্ষিণে থাকা ইসরায়েলি বাহিনী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা। তবে এটি কার্যকর হওয়া নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সেইসঙ্গে ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ ব্যয়ের খরচ কারা দেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। অর্থনৈতিক অচলাবস্থার কারণে দেশটির সরকারি সহায়তা খুবই কম হতে পারে বলে ধারণা করছেন বাসিন্দারা।

এর আগে ২০০৬ সালে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এক মাসব্যাপী যুদ্ধ হয়েছিল। সে সময় ইরানের সহায়তায় ২৮০ কোটি ডলার মূল্যের পুনর্নির্মাণ খরচের বেশির ভাগ বহন করেছিল হিজবুল্লাহ। এবারো এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি।