চমক নিয়ে আসছে নতুন জাতীয় সংসদ!
- আপডেট সময় : ০৩:৩৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন বুধবার (১৫ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। সংসদে আসন বৃদ্ধি, ন্যূনতম ভোট না পড়লে নির্বাচন বাতিল এবং দুই কক্ষের পার্লামেন্টসহ বেশ কিছু সুপারিশ থাকবে প্রতিবেদনে।
খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট আসন হবে ৫০৫টি। সংসদের নিম্নকক্ষে আসন থাকবে ৪০০টি। এর মধ্যে ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। তারা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। আর উচ্চকক্ষে ১০৫টি আসন থাকবে। নির্বাচন হবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে।
এছাড়া, কোনো প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকছে না। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা, না ভোটের সুযোগ, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার এবং আরপিওর ব্যাপক সংশোধনের সুপারিশও থাকছে।
সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র ঠেকাতে বা এক ব্যক্তির হাতে যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে না যায়, সে জন্য ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে বেশ কিছু সুপারিশ করবে এই কমিশন। পাশাপাশি বিদ্যমান সংবিধানের মূলনীতিতেও পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হবে। সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করে শেষ মুহূর্তের কাজ করছে।
বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, নির্বাচন আচরণবিধিতে পরিবর্তনের সুপারিশও থাকছে এ প্রতিবেদনে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্র সংস্কারে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে কমিশন হয় গত ৩ অক্টোবর। কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হওয়ার নজির রয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটের প্রবণতা রোধে ভোটার উপস্থিতির একটা সীমারেখা টেনে দিতে চায় কমিশন।
ড. মো. আব্দুল আলীম আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংশোধন, আরপিও সংশোধন, সংসদে আসন বাড়ানো, ন্যূনতম ভোটার ছাড়া নির্বাচন বাতিল, জাতীয় পরিচয়পত্রের সেবা ইসির অধীনে রাখার সুপারিশ করবে সংস্কার কমিশন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য জেসমিন টুলী বলেন, উল্লেখিত সুপারিশ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়নের কথা বলা হবে।
নির্বাহী আদেশে কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব। তবে সংস্কারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ওপর নির্ভর করছে।