ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘ডেসটিনির এমডি রফিকুলের মুক্তিতে বাঁধা থাকছে না’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আগামী ছয় মাসের মধ্যে জরিমানা বাবদ ৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে আসামিদের।

তবে এরই মধ্যে ১২ বছর ৩ মাস কারা ভোগ করেছেন রফিকুল আমিন ও ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন। কারাগারে থাকার সময়ের সঙ্গে দণ্ডাদেশ সমন্বয় করার আদেশ হওয়ায় তাদের মুক্তিতে আর কোন বাঁধা থাকছে না। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। অন্যদিকে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

দীর্ঘ ১২ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর আলোচিত এ মামলার রায়ের ফলে রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসাইনের মুক্তিতে আর কোন বাধা থাকছে না।

দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন– ডেসটিনির পরিচালক সাবেক সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।

আসামিদের মধ্যে রফিকুল আমীন, তাঁর স্ত্রী ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেনন জামিনে আছেন। রায় ঘোষণার আগে তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদও আদালতে হাজির হন। অপর ১৫ আসামি পলাতক। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এদিকে ডেসটিনির মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকার দ্বিগুন অর্থাৎ চার হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এ তথ্য জানান।

এরআগে গত ১১ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দুই মামলায় রায়ের তারিখ ২৮ নভেম্বর ধার্য করেন আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ১৫ জানুয়ারি করা হয়।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই ঢাকার কলাবাগান থানায় এ দুটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরকার। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ মে একটি মামলায় ১৯ জনের এবং অপর মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

এর আগে ২০২২ সালের ১২ মে একই আদালত অর্থপাচারের এক মামলায় রফিকুল আমীন ও হারুনসহ ৪৬ আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। এর মধ্যে রফিকুল আমীনকে ১২ বছর ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘ডেসটিনির এমডি রফিকুলের মুক্তিতে বাঁধা থাকছে না’

আপডেট সময় : ০৩:১৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আগামী ছয় মাসের মধ্যে জরিমানা বাবদ ৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে আসামিদের।

তবে এরই মধ্যে ১২ বছর ৩ মাস কারা ভোগ করেছেন রফিকুল আমিন ও ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন। কারাগারে থাকার সময়ের সঙ্গে দণ্ডাদেশ সমন্বয় করার আদেশ হওয়ায় তাদের মুক্তিতে আর কোন বাঁধা থাকছে না। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। অন্যদিকে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

দীর্ঘ ১২ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর আলোচিত এ মামলার রায়ের ফলে রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসাইনের মুক্তিতে আর কোন বাধা থাকছে না।

দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন– ডেসটিনির পরিচালক সাবেক সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।

আসামিদের মধ্যে রফিকুল আমীন, তাঁর স্ত্রী ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেনন জামিনে আছেন। রায় ঘোষণার আগে তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদও আদালতে হাজির হন। অপর ১৫ আসামি পলাতক। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এদিকে ডেসটিনির মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকার দ্বিগুন অর্থাৎ চার হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এ তথ্য জানান।

এরআগে গত ১১ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দুই মামলায় রায়ের তারিখ ২৮ নভেম্বর ধার্য করেন আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ১৫ জানুয়ারি করা হয়।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই ঢাকার কলাবাগান থানায় এ দুটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরকার। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ মে একটি মামলায় ১৯ জনের এবং অপর মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

এর আগে ২০২২ সালের ১২ মে একই আদালত অর্থপাচারের এক মামলায় রফিকুল আমীন ও হারুনসহ ৪৬ আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। এর মধ্যে রফিকুল আমীনকে ১২ বছর ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।