সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা অনুসারে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ হবে চার বছর এবং তিনি দুইবারের বেশি এই পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হবেন আইনসভার নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনের ভিত্তিতে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সংবিধান সংস্কার কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেয়। অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন সংবিধান সংশোধনের জন্য গণভোটের বিধান পুনর্বহালের প্রস্তাবও করেছেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির মেয়াদ হবে চার বছর এবং তিনি দুইবারের বেশি এই আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচকমণ্ডলীর (ইলেকটোরাল কলেজ) সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।
ইলেকটোরাল কলেজ বা ভোটারদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচকমণ্ডলী আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য প্রতি একটি করে ভোট; প্রতিটি ‘জেলা সমন্বয় কাউন্সিল’ সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট [উদাহরণ : ৬৪টি ‘জেলা সমন্বয় কাউন্সিল’ থাকলে ৬৪টি ভোট]; প্রতিটি ‘সিটি কর্পোরেশন সমন্বয় কাউন্সিল’ সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোটের মাধ্যমে এটি গঠিত হবে।
সুপারিশের রাষ্ট্রপতি অভিশংসনের বিষয়েও বলা হয়েছে- রাষ্ট্রদ্রোহ, গুরুতর অসদাচরণ বা সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করা যাবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুপারিশে বলা হয়েছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হবেন। আইনসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে কিংবা আস্থা ভোটে হেরে গেলেই শুধু ওই পদ থেকে সরে যেতে পারবেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি কোনো কারণে আইনসভা ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিলেও প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়ে বলা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। তিনিও রাষ্ট্রপতির মতো দুইবারের অধিক এক পদে থাকতে পারবেন না। আর প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি কোনো দলের প্রধান বা সংসদ নেতা হিসেবে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না।