ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৩৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ৫ আগস্টের পুরো অনুভূতিটাই ছিল একতার অনুভূতি। তিনি বলেন একতাতেই আমাদের জন্ম, একতাই আমাদের শক্তি। ঐক্যের মাঝে এ সরকারের জন্ম হয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ ঘোষণার বিষয়ে সর্বদলীয় ঐক্যের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি এসময় ৫ আগষ্টের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

তিনি বলেন ঐক্যের দ্বারা এ সরকারের সৃষ্টি, একতার মধ্যেই আমাদের জন্ম ও একতাই আমাদের শক্তি।

তিনি আরও বলেন ‘আমরা একতাকে কিভাবে মানুষের সামনে প্রকাশ করব, ৫ আগস্টকে রিক্রিয়েট করব সেটাই জুলাই ঘোষণা পত্রের বিষয় বস্তু হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরী করতে না পারলে উদ্দেশ্য ব্যহত হবে’ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আরো আলাপ আলোচনা করে ঘোষণাপত্র তৈরী করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে সবাইকে দেখলে প্রাণ সঞ্চার হয় উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘ছাত্ররা ঘোষণা দিল প্রক্লেমেশন করবে। আমাকেও সঙ্গে থাকতে হবে। বুঝতে চাইলাম কী প্রক্লেমেশন দিচ্ছে। বোঝার পরে বললাম, আমার যাওয়াটা হবে না, সেইসঙ্গে তোমাদেরও ঘোষণা দেয়া হবে না। তোমরা ৫ আগস্টে ফিরে যেতে চাইলে, সেই দিনের পরিপ্রেক্ষিতে যা হয়েছিল সেটাকে রিক্রিয়েট করতে হবে।’

৫ আগস্টের অনুভূতি একতার ছিল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তোমরা (শিক্ষার্থীরা) যদি প্রক্লেমেশন করতে চাও, তাহলে সবাইকে নিয়ে করতে হবে এটা পরিষ্কার। না হলে যে একতা দিয়ে তোমরা ৫ আগস্ট সৃষ্টি করেছিলে এটার অবমাননা হবে। তারা খুশি না হলেও ক্রমান্বয়ে বুঝতে পেরেছে এক হওয়ার বিষয়টি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এটা করতে পারব না, সেক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ব্যাহত হলেও এর দরকার নেই। সবাই এক হলে সবার মনে সাহস আসবে। সারা দেশ চমকে উঠবে। হ্যাঁ, আমরা জেগে রয়েছি, এখনও ভোঁতা হয়ে যাইনি। আমাদের অনুভূতি এখনও চাঙা আছে। আমরা জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ।’

যতদিন এই সরকার থাকবে ততদিন একতা নিয়েই থাকার অঙ্গীকার করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারাই আমাদের সেই সাহসটা দেন। ৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে আমরা একতাবদ্ধ রয়েছি। কীভাবে সেই একতাকে মানুষের সামনে প্রকাশ করবো এবং ৫ আগস্ট রিক্রিয়েট করবো সেটিই আলাপের বিষয়বস্তু হবে।’

‘আমরা যদি দেশের জন্য কাজে আসতে পারি তাহলে দেশের জন্য যেমন ভালো আবার আন্তর্জাতিকভাবেও অনেক ভালো। সবাই দেখবে যে এই জাতিকে বহু ঠুকরাঠুকরি করলেও নড়ে না। স্থীর এবং শক্ত হয়ে থাকে। এটি হলো আসল কথা। দেশের পাশাপাশি সারা দুনিয়াকেও বিষয়টি জানাতে চাই,’ যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

সংলাপে বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন অংশ নেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরিফ সোহেল ও প্রধান সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদুল ইসলাম খান, খেলাফত মজলিশের সেক্রেটারি জেনারেল আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ৫ আগস্টের পুরো অনুভূতিটাই ছিল একতার অনুভূতি। তিনি বলেন একতাতেই আমাদের জন্ম, একতাই আমাদের শক্তি। ঐক্যের মাঝে এ সরকারের জন্ম হয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ ঘোষণার বিষয়ে সর্বদলীয় ঐক্যের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি এসময় ৫ আগষ্টের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

তিনি বলেন ঐক্যের দ্বারা এ সরকারের সৃষ্টি, একতার মধ্যেই আমাদের জন্ম ও একতাই আমাদের শক্তি।

তিনি আরও বলেন ‘আমরা একতাকে কিভাবে মানুষের সামনে প্রকাশ করব, ৫ আগস্টকে রিক্রিয়েট করব সেটাই জুলাই ঘোষণা পত্রের বিষয় বস্তু হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরী করতে না পারলে উদ্দেশ্য ব্যহত হবে’ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আরো আলাপ আলোচনা করে ঘোষণাপত্র তৈরী করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে সবাইকে দেখলে প্রাণ সঞ্চার হয় উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘ছাত্ররা ঘোষণা দিল প্রক্লেমেশন করবে। আমাকেও সঙ্গে থাকতে হবে। বুঝতে চাইলাম কী প্রক্লেমেশন দিচ্ছে। বোঝার পরে বললাম, আমার যাওয়াটা হবে না, সেইসঙ্গে তোমাদেরও ঘোষণা দেয়া হবে না। তোমরা ৫ আগস্টে ফিরে যেতে চাইলে, সেই দিনের পরিপ্রেক্ষিতে যা হয়েছিল সেটাকে রিক্রিয়েট করতে হবে।’

৫ আগস্টের অনুভূতি একতার ছিল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তোমরা (শিক্ষার্থীরা) যদি প্রক্লেমেশন করতে চাও, তাহলে সবাইকে নিয়ে করতে হবে এটা পরিষ্কার। না হলে যে একতা দিয়ে তোমরা ৫ আগস্ট সৃষ্টি করেছিলে এটার অবমাননা হবে। তারা খুশি না হলেও ক্রমান্বয়ে বুঝতে পেরেছে এক হওয়ার বিষয়টি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এটা করতে পারব না, সেক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ব্যাহত হলেও এর দরকার নেই। সবাই এক হলে সবার মনে সাহস আসবে। সারা দেশ চমকে উঠবে। হ্যাঁ, আমরা জেগে রয়েছি, এখনও ভোঁতা হয়ে যাইনি। আমাদের অনুভূতি এখনও চাঙা আছে। আমরা জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ।’

যতদিন এই সরকার থাকবে ততদিন একতা নিয়েই থাকার অঙ্গীকার করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারাই আমাদের সেই সাহসটা দেন। ৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে আমরা একতাবদ্ধ রয়েছি। কীভাবে সেই একতাকে মানুষের সামনে প্রকাশ করবো এবং ৫ আগস্ট রিক্রিয়েট করবো সেটিই আলাপের বিষয়বস্তু হবে।’

‘আমরা যদি দেশের জন্য কাজে আসতে পারি তাহলে দেশের জন্য যেমন ভালো আবার আন্তর্জাতিকভাবেও অনেক ভালো। সবাই দেখবে যে এই জাতিকে বহু ঠুকরাঠুকরি করলেও নড়ে না। স্থীর এবং শক্ত হয়ে থাকে। এটি হলো আসল কথা। দেশের পাশাপাশি সারা দুনিয়াকেও বিষয়টি জানাতে চাই,’ যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

সংলাপে বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন অংশ নেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরিফ সোহেল ও প্রধান সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদুল ইসলাম খান, খেলাফত মজলিশের সেক্রেটারি জেনারেল আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।