ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ক্রিকেট বোর্ডে স্বৈরাচারী প্রভাব, সমাধানের আহ্বান আমিনুল হকের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্রিকেট বোর্ডে স্বৈরাচারী সরকারের মতোই প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার, অভিযোগ বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকের। গঠনতন্ত্র নিয়ে বিসিবিতে চলা অস্থিরতার কড়া সমালোচনা করে দ্রুতই সমাধানের পথ বের করার আহ্বান জানিয়েছেন এই কিংবদন্তী ফুটবলার।

সংস্কার নাকি আধিপত্য? দেশের ক্রিকেটটা যেন ঝুলে আছে দুই প্রান্তের মাঝপথে। একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, পারিশ্রমিক না পেয়ে বিপিএলের মাঝপথেই দেশি ক্রিকেটারদের প্রতিবাদ। যেন উত্তাল প্রশান্ত মহাসাগরে দিশেহারা নতুন বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড।

গণমাধ্যমে সপ্তাহখানেক আগেই বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের দিকে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছিলেন আরেক পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম। সেই দফায়, পরিচালকের পদ ছেড়ে দেয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন এই বোর্ড কর্তা। তবে দৃশ্যপট বদলেছে, অভিযোগের আঙুল এবার ফাহিমের দিকে। অভিজ্ঞ এই পরিচালকের পদত্যাগের দাবি উঠেছে ঢাকার ৭৬টি ক্লাব সংগঠকের মুখে।

ক্রিকেট সংগঠক আদনান রহমান দীপন বলেন, ‘তিনি নির্বাচিত বোর্ড পরিচালক না। তিনি বেআইনিভাবে বাংলাদেশে ক্রিকেটে আসছে। আমরা কোনো বোর্ডের আন্ডারে থাকবো না যেখানে বেআইনি ব্যক্তি আছে।’

ঘটনার শুরু বিসিবির গঠনতন্ত্রে সংস্কার নিয়ে। যে কমিটির দায়িত্বে আছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। কমিটির খসড়া প্রস্তাব, ঢাকার ক্লাব কোটায় আসা পরিচালকের সংখ্যা ১২ থেকে কমিয়ে আনা হবে ৪ জনে। আর কাউন্সিলরের সংখ্যা ৭৬ জন থেকে কমিয়ে করা হবে ৩০ জন। অর্থাৎ নতুন এই সংস্কারে কমানো হবে ঢাকা ভিত্তিক ক্রিকেট ক্লাবের কর্তৃত্ব। আর ক্রিকেট বোর্ডে বাড়বে সরকারের আধিপত্য।

বিসিবির এমন প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। বিগত সরকারের পথ ধরেই হাঁটছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, অভিযোগ দেশের এই কিংবদন্তী ফুটবলারের।

বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘দেশের আগে যদি নিজের স্বার্থের দিকে নজর দেন তাহলে সেই ক্রীড়াঙ্গনে ভালো কিছু হয় না। ব্যক্তির স্বার্থের থেকে আগে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রত্যেকটি সেক্টরে দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণমুক্ত রাখতে হবে। সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে যেভাবে বলা হচ্ছে এতজন সরকারের পক্ষ থেকে থাকবে। তার মানে কি আমরা যেটা চাচ্ছি সেটা হচ্ছে না।’

বিসিবিতে ছড়িয়ে পড়া অন্তর্কোন্দলে যেন হারাতে বসেছে দেশের ক্রিকেটের স্বকীয়তা। আধিপত্য বিস্তারের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুক ক্রিকেট বোর্ড, চাওয়াটা দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্রিকেট বোর্ডে স্বৈরাচারী প্রভাব, সমাধানের আহ্বান আমিনুল হকের

আপডেট সময় : ০৬:৫১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রিকেট বোর্ডে স্বৈরাচারী সরকারের মতোই প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার, অভিযোগ বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকের। গঠনতন্ত্র নিয়ে বিসিবিতে চলা অস্থিরতার কড়া সমালোচনা করে দ্রুতই সমাধানের পথ বের করার আহ্বান জানিয়েছেন এই কিংবদন্তী ফুটবলার।

সংস্কার নাকি আধিপত্য? দেশের ক্রিকেটটা যেন ঝুলে আছে দুই প্রান্তের মাঝপথে। একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, পারিশ্রমিক না পেয়ে বিপিএলের মাঝপথেই দেশি ক্রিকেটারদের প্রতিবাদ। যেন উত্তাল প্রশান্ত মহাসাগরে দিশেহারা নতুন বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড।

গণমাধ্যমে সপ্তাহখানেক আগেই বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের দিকে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছিলেন আরেক পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম। সেই দফায়, পরিচালকের পদ ছেড়ে দেয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন এই বোর্ড কর্তা। তবে দৃশ্যপট বদলেছে, অভিযোগের আঙুল এবার ফাহিমের দিকে। অভিজ্ঞ এই পরিচালকের পদত্যাগের দাবি উঠেছে ঢাকার ৭৬টি ক্লাব সংগঠকের মুখে।

ক্রিকেট সংগঠক আদনান রহমান দীপন বলেন, ‘তিনি নির্বাচিত বোর্ড পরিচালক না। তিনি বেআইনিভাবে বাংলাদেশে ক্রিকেটে আসছে। আমরা কোনো বোর্ডের আন্ডারে থাকবো না যেখানে বেআইনি ব্যক্তি আছে।’

ঘটনার শুরু বিসিবির গঠনতন্ত্রে সংস্কার নিয়ে। যে কমিটির দায়িত্বে আছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। কমিটির খসড়া প্রস্তাব, ঢাকার ক্লাব কোটায় আসা পরিচালকের সংখ্যা ১২ থেকে কমিয়ে আনা হবে ৪ জনে। আর কাউন্সিলরের সংখ্যা ৭৬ জন থেকে কমিয়ে করা হবে ৩০ জন। অর্থাৎ নতুন এই সংস্কারে কমানো হবে ঢাকা ভিত্তিক ক্রিকেট ক্লাবের কর্তৃত্ব। আর ক্রিকেট বোর্ডে বাড়বে সরকারের আধিপত্য।

বিসিবির এমন প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। বিগত সরকারের পথ ধরেই হাঁটছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, অভিযোগ দেশের এই কিংবদন্তী ফুটবলারের।

বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘দেশের আগে যদি নিজের স্বার্থের দিকে নজর দেন তাহলে সেই ক্রীড়াঙ্গনে ভালো কিছু হয় না। ব্যক্তির স্বার্থের থেকে আগে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রত্যেকটি সেক্টরে দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণমুক্ত রাখতে হবে। সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে যেভাবে বলা হচ্ছে এতজন সরকারের পক্ষ থেকে থাকবে। তার মানে কি আমরা যেটা চাচ্ছি সেটা হচ্ছে না।’

বিসিবিতে ছড়িয়ে পড়া অন্তর্কোন্দলে যেন হারাতে বসেছে দেশের ক্রিকেটের স্বকীয়তা। আধিপত্য বিস্তারের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুক ক্রিকেট বোর্ড, চাওয়াটা দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর।