ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি পাস
- আপডেট সময় : ১১:০৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
অবশেষে ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায়ও পাস হলো গাজার যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি। আজ (শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে রোববার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে প্রথম ধাপের বন্দিবিনিময়। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েও গত দুইদিনে হামলা চালিয়ে একশ ১০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করায় ক্ষেপেছে হামাস। ইচ্ছাকৃতভাবে বোমা হামলা জোরদার করে নেতানিয়াহুর সেনারা যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তাদের।
উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও ধোঁয়াশার মধ্যে শুক্রবার গাজায় হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির অনুমোদন দিলো ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা। অনুমোদনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট। তবে চুক্তিটি ইসরাইলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। আগামী রোববার থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
বুধবার রাতে ইসরাইল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেন। নেতানিয়াহুকে বন্ধু উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের নিরাপদে বসবাসের জায়গা নিশ্চিত করতে হবে নেতানিয়াহুকে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর থাকবে ৪২ দিন, মুক্তি পাবে ৩৩ জন বন্দি। এরমধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ গাজা উপত্যকার সীমান্তবর্তী সব এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে ইসরাইলকে। সেনা থাকবে ৫ টি বিশেষ এলাকায়। দ্বিতীয় ধাপে আরও বন্দিদের মুক্ত করবে তেল আবিব। তৃতীয় ধাপে সব বন্দিদের মুক্ত করে পুরোপুরি ফিলিস্তিন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা রয়েছে আইডিএফের।
ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস রক্তক্ষয়ের পর অবশেষে কার্যকর হতে যাচ্ছে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পেছনে বাইডেনের কোন অবদান নেই বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষকেরাও বলছেন, এই চুক্তির পেছনে অবশ্যই প্রভাব রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর রাজনৈতিক সমাধান সময়সাপেক্ষ আর অনিশ্চিত।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় তাণ্ডব শুরু করে ইসরাইল। সেই থেকে এখন পর্যন্ত চালানো আগ্রাসনে ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বাস্তুচ্যুত ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা।