পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে রাজশাহী
- আপডেট সময় : ১১:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
বিপিএলে বিতর্ক পাশ কাটিয়ে মাঠের খেলায় ঘুরে দাঁড়ালো দুর্বার রাজশাহী। এক ম্যাচ পর ফের ফিরেছে জয়ের ধারায়। সিলেটকে হারিয়ে উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে। ৬৫ রানের বড় জয়ে বাঁচিয়ে রাখলো প্লে অফের আশা।
শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুর্বার রাজশাহী ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। যেখানে জিতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট ১৮৪ রান তুলে রাজশাহী। জবাবে ১৭.৩ ওভারে ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট।
দুর্বার রাজশাহী বেশ কয়েকদিন যাবত আলোচনায় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ইস্যুতে। সময়মতো অর্থ পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠে তাদের দিকে। যদিও ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হস্তক্ষেপে সমাধান হয়েছে বিষয়টা।
ঘটনার প্রভাব অবশ্য মাঠের ক্রিকেটে পড়েনি। এনামুল হক বিজয়ের দলটি চট্টগ্রামে খেলতে নামে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই। ম্যাচ শেষেও যা ধরে রেখেছে দলটি। তুলে নিয়েছে আসরে নিজেদের তৃতীয় জয়।
একক কোনো বড় ইনিংস না থাকলেও ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই পায় রাজশাহী। উদ্বোধনী জুটিতে আশা দেখান মোহাম্মদ হারিস ও জিশান আলম। ৩.১ ওভারে এসে হারিস ফেরেন ১৪ বলে ১৯ রানে।
পাওয়ার প্লে শেষ করে ফেরেন জিশান। তাকে থামতে হয় রনি তালুকদারের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়ে ১৮ বলে ২০ করে। এনামুল হক বিজয়ও থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি, ২২ বলে ৩২ করতেই শেষ হয় ইনিংস।
রায়ান বার্ল ও ইয়াসির আলি মিলে ১২৬ রানে পৌঁছান দলকে। ইয়াসির ফেরেন ১০ বলে ১৯ করে। বার্লকেও থামতে হয় দেড় শ’ পাড়ি দিতেই, ২৭ বলে ৪১ রানে। শেষ দিকে মৃত্যুঞ্জয় ১২ ও আকবর আলি করেন অপরাজিত ১৪ রান।
শেষ ওভারে রুয়েল মিয়ার বিপরীতে বেশ ধুঁকেছেন আকবর। অন্যথায় আরো বড় পুঁজি পেতে পারতো, শেষ ওভারে এক ওয়াইডসহ আসে মাত্র ২ রান। রুয়েল ৩, নাহিদুল ইসলাম ও নিহাদুজ্জামান নেন ২টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় সিলেট। ২.২ ওভারে মাত্র ১৩ রানে হারায় পল স্টার্লিং (২) ও রনি তালুকদারকে (৪)। এরপর জাকির হাসান ও জর্জে মানসে মিলে যোগ করেন ৪৩ বলে ৫৮ রান।
তবে তারা দু’জনই ফেরেন দ্রুত। ৯.৩ ওভারে জাকির ২৮ বলে ৩৯ করে থামেন। পরের ওভারে মানসে আফতাবের শিকার হোন ২২ বলে ২০ করে। অ্যারন জোনস এই ম্যাচেও তেমন কিছু করতে পারেননি (৫)।
শেষ দিকে কেবল চেষ্টা করেন একটুখানি। তার তিন ছক্কায় ২০ বলে ৩১ কেবল হারের ব্যবধান কমায়। বাকিদের কেউ পারেননি দুই অংকের ঘরে যেতে। সানজামুল ৩ এবং ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন, আফতাব ও মৃত্যুঞ্জয়।