ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ট্রাম্পকে কড়া জবাব দিলেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিকসেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই নির্ধারণ করবে। খবর বিবিসির’র।

এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ দেখিয়ে কোপেনহেগেন ও গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক-এ আলোড়ন তুলেছিলেন। ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত গ্রিনল্যান্ড।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ৪৫ মিনিটের এক ফোনালাপে ফ্রেডরিকসেন ট্রাম্পকে বলেন, আর্কটিক অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ে ডেনমার্ক নিজের দায়িত্ব বাড়াতে প্রস্তুত। তিনি গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেদের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। মুটে এগেদে সম্প্রতি বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়।

ট্রাম্প এ ফোনালাপের বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। যদিও তিনি ২০১৯ সালের একটি জরিপ তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। ওই জরিপে দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ গ্রিনল্যান্ডবাসী ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা চান।

ধারণা করা হচ্ছে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা নিয়ে গণভোট হতে পারে। যদিও ডেনমার্ক জানিয়েছে, তারা যেকোনো ফলাফলকে সম্মান জানাবে। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তখন মেটে ফ্রেডরিকসেন এ প্রস্তাবকে “অযৌক্তিক” বলে মন্তব্য করলে ট্রাম্প হঠাৎ ডেনমার্ক সফর বাতিল করেন।

ডেনিশ সরকার জানায়, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে ফ্রেডরিকসেন বলেছেন, “ডেনমার্কের কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে অবদান রাখছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শক্তিশালী করার অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে।”

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ডেনমার্ককে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, গ্রিনল্যান্ড না ছাড়লে দেশটির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই প্রস্তাব ডেনমার্কের শিল্পপ্রধানদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ডেনমার্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। উচ্চ শুল্ক আরোপ হলে ডেনমার্কের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে।

এদিকে গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য আজা কেমনিজ বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রিনল্যান্ডবাসীর হওয়া উচিত- ফ্রেডরিকসেনের এই অবস্থানে তিনি সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের ওপর আমার গভীর আস্থা রয়েছে। মুটে এগেদেকেও আমি ভরসা করি। আমি মনে করি, তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

এ সপ্তাহের শুরুতে মুটে এগেদে জানান, তার সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। যদিও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য রাসমুস জারলোভ ফ্রেডরিকসেনের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পকে কড়া জবাব দিলেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:১৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিকসেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই নির্ধারণ করবে। খবর বিবিসির’র।

এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ দেখিয়ে কোপেনহেগেন ও গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক-এ আলোড়ন তুলেছিলেন। ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত গ্রিনল্যান্ড।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ৪৫ মিনিটের এক ফোনালাপে ফ্রেডরিকসেন ট্রাম্পকে বলেন, আর্কটিক অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ে ডেনমার্ক নিজের দায়িত্ব বাড়াতে প্রস্তুত। তিনি গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেদের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। মুটে এগেদে সম্প্রতি বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়।

ট্রাম্প এ ফোনালাপের বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। যদিও তিনি ২০১৯ সালের একটি জরিপ তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। ওই জরিপে দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ গ্রিনল্যান্ডবাসী ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা চান।

ধারণা করা হচ্ছে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা নিয়ে গণভোট হতে পারে। যদিও ডেনমার্ক জানিয়েছে, তারা যেকোনো ফলাফলকে সম্মান জানাবে। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তখন মেটে ফ্রেডরিকসেন এ প্রস্তাবকে “অযৌক্তিক” বলে মন্তব্য করলে ট্রাম্প হঠাৎ ডেনমার্ক সফর বাতিল করেন।

ডেনিশ সরকার জানায়, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে ফ্রেডরিকসেন বলেছেন, “ডেনমার্কের কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে অবদান রাখছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শক্তিশালী করার অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে।”

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ডেনমার্ককে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, গ্রিনল্যান্ড না ছাড়লে দেশটির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই প্রস্তাব ডেনমার্কের শিল্পপ্রধানদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ডেনমার্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। উচ্চ শুল্ক আরোপ হলে ডেনমার্কের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে।

এদিকে গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য আজা কেমনিজ বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রিনল্যান্ডবাসীর হওয়া উচিত- ফ্রেডরিকসেনের এই অবস্থানে তিনি সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের ওপর আমার গভীর আস্থা রয়েছে। মুটে এগেদেকেও আমি ভরসা করি। আমি মনে করি, তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

এ সপ্তাহের শুরুতে মুটে এগেদে জানান, তার সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। যদিও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য রাসমুস জারলোভ ফ্রেডরিকসেনের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন।