ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রতারকদের খপ্পরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফোনে প্রতারণার ঘটনা বিশ্বজুড়ে এখন খুবই সাধারণ। প্রতারকরা নানা উপায়ে মানুষজনকে ফোনে ফাঁদে ফেলে। সাধারণত এই ফোনগুলো সাধারণ মানুষজনকে টার্গেট করেই করা হয়। তবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনিও ফোন প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছিলেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারকেরা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থ চান।

পেতংতার্ন জানান, একজন সুপরিচিত বিশ্ব নেতার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে তাঁর কাছ থেকে অর্থ দাবি করা হয়। আর জানানো হয়, তাঁর দেশই একমাত্র আসিয়ান দেশ যা এখনও অর্থ দেয়নি। তবে এই প্রতারণার বিষয়টি দ্রুতই টের পেয়ে যান পেতংতার্ন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিএনএনকে বলেন, ‘কণ্ঠস্বরটি খুব স্পষ্ট ছিল এবং আমি সঙ্গে সঙ্গে তা চিনতে পেরেছিলাম। তারা প্রথমে একটি ভয়েস ক্লিপ পাঠিয়েছিল। সেখানে বলা হয়, আপনি কেমন আছেন? আমি একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এরপর তারা আরেকটি ভয়েস ক্লিপ পাঠায়। সেখানে বলে বলা হয়, আপনি একমাত্র আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা) দেশ যেখান থেকে এখনও অর্থ দেওয়া হয়নি। এরপর কিছুক্ষণ পর আমি বুঝতে পারি এটি প্রতারণা।’

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতারণার ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। তদন্তকারীরা বলছেন যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রগুলো প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং মায়ানমারের গৃহযুদ্ধকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষকে প্রতারিত করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রতারকদের খপ্পরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

ফোনে প্রতারণার ঘটনা বিশ্বজুড়ে এখন খুবই সাধারণ। প্রতারকরা নানা উপায়ে মানুষজনকে ফোনে ফাঁদে ফেলে। সাধারণত এই ফোনগুলো সাধারণ মানুষজনকে টার্গেট করেই করা হয়। তবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনিও ফোন প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছিলেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারকেরা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থ চান।

পেতংতার্ন জানান, একজন সুপরিচিত বিশ্ব নেতার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে তাঁর কাছ থেকে অর্থ দাবি করা হয়। আর জানানো হয়, তাঁর দেশই একমাত্র আসিয়ান দেশ যা এখনও অর্থ দেয়নি। তবে এই প্রতারণার বিষয়টি দ্রুতই টের পেয়ে যান পেতংতার্ন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিএনএনকে বলেন, ‘কণ্ঠস্বরটি খুব স্পষ্ট ছিল এবং আমি সঙ্গে সঙ্গে তা চিনতে পেরেছিলাম। তারা প্রথমে একটি ভয়েস ক্লিপ পাঠিয়েছিল। সেখানে বলা হয়, আপনি কেমন আছেন? আমি একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এরপর তারা আরেকটি ভয়েস ক্লিপ পাঠায়। সেখানে বলে বলা হয়, আপনি একমাত্র আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা) দেশ যেখান থেকে এখনও অর্থ দেওয়া হয়নি। এরপর কিছুক্ষণ পর আমি বুঝতে পারি এটি প্রতারণা।’

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতারণার ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। তদন্তকারীরা বলছেন যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রগুলো প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং মায়ানমারের গৃহযুদ্ধকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষকে প্রতারিত করছে।