রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) একটি ২০ বছরের কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তি তাদের দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক গভীরতর করবে এবং পশ্চিমাদের উদ্বিগ্ন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
এই চুক্তির আওতায় রাশিয়া এবং ইরান তাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা বাড়াবে, সামরিক মহড়া, যুদ্ধজাহাজের বন্দরে ভ্রমণ এবং যৌথ অফিসার প্রশিক্ষণের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, কোন দেশই তাদের ভূখণ্ড অন্য দেশের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী কোনো কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে দেবে না এবং একে অপরের ওপর আক্রমণকারীকে কোনো সহায়তা দেবে না। তারা সামরিক হুমকির বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে এই চুক্তিতে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে থাকা একটি চুক্তির মতো পারস্পরিক প্রতিরক্ষা ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পশ্চিমা দেশগুলোর মতে, উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে মোতায়েন হয়েছে। যদিও মস্কো এ বিষয়ে নিশ্চিতও করেনি এবং অস্বীকারও করেনি।
এ ছাড়া অস্ত্র স্থানান্তরের বিষয়ে চুক্তিতে সরাসরি উল্লেখ নেই, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য বিশেষ উদ্বেগের বিষয়। তবে উভয় পক্ষ বলেছে, তারা সামরিক কারিগরি সহযোগিতা উন্নয়ন করবে।
গত বছরের জুলাইয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এই প্রথম মস্কো সফর করেছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি এই চুক্তিকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ নতুন অধ্যায় বলে অভিহিত করেন। অন্যদিকে পুতিন বলেছেন, মস্কো ও তেহরান আন্তর্জাতিক বিষয়ে অনেক মতামত ভাগাভাগি করে।
তিনি বলেন, এই চুক্তি সব ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার জন্য আরও ভালো শর্ত তৈরি করে। তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যের সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন যে এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব মুদ্রায় পরিচালিত হয়।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত করে পুতিন বলেন, আমাদের কম আমলাতান্ত্রিকতা এবং আরও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ প্রয়োজন। অন্যরা যতো বাধাই সৃষ্টি করুক, আমরা তা অতিক্রম করতে এবং এগিয়ে যেতে সক্ষম হব।