বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তোপের মুখে ব্লিঙ্কেন
- আপডেট সময় : ০২:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের শেষ সংবাদ সম্মেলন রূপ নেয় উত্তপ্ত বিতর্কে। ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যাকারী ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এ সময় সেখানে হট্টগোলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তাকর্মীদের দুই সাংবাদিককে জোর করে ধরে ওই কক্ষের বাইরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে গত ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধ ঘিরে নিজের কূটনৈতিক তৎপরতার পক্ষে কথা বলছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তাকে প্রশ্ন করতে গিয়ে একের পর এক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন সাংবাদিকেরা।
স্যাম হুসেইনি নামের একজন সাংবাদিক চিৎকার করে বলেন, ‘অপরাধী! আপনি কেন হেগে নেই।’ দীর্ঘদিন বহির্বিশ্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতি সমালোচক হিসেবে পরিচিত এই স্বাধীন সাংবাদিক মূলত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং কক্ষে অচেনা এই সাংঘর্ষিক দৃশ্যের সমাপ্তি ঘটে নিরাপত্তাকর্মীরা হুসেইনিকে ধরে নেওয়ার মধ্য দিয়ে। তারা এই সাংবাদিককে জোর করে কক্ষের বাইরে নেওয়ার সময়ও তিনি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের উদ্দেশে অবমাননাকর নানা প্রশ্ন ছুড়তে থাকেন।
কয়েক দশক ধরে চলে আসা ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতে সর্বশেষ এই রক্তপাত শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। তখন থেকে ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র সরবরাহ ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসার জন্য সমালোচিত হয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন।
গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ম্যাক্স ব্লুমেনথাল নামের আরেক সাংবাদিক ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘মে মাসে যখন একটি চুক্তি হয়েছিল তখন কেন আপনি বোমা পাঠিয়ে গিয়েছিলেন?’ পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনামুখর সংবাদমাধ্যম গ্রেজোনের সম্পাদক ব্লুমেনথালকেও নিরাপত্তাকর্মীরা কক্ষের বাইরে নিয়ে যান।
আগামী সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বিদায় নিতে চলা অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নিজের বক্তব্য শেষে সাংবাদকিদের প্রশ্ন করতে বলেন। সে সময় তিনি ছিলেন খুবই শান্ত। কিন্তু এরপর তাকে একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।