নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যেই ঢুকতে চায় না। বরং সরকারের সময়সীমা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের পথে হাঁটছে ইসি। আজ (রোববার, ১৯ জানুয়ারি) ইউএনডিপির দেয়া বিভিন্ন উপাদান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এবারের ভোটার তালিকা নির্বাচনকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর, এবার পালা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদের কাজ, যা শুরু হচ্ছে সোমবার। এই কর্মযজ্ঞে নির্বাচন কমিশনকে কারিগরি সহায়তা করছে ইউএনডিপি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে দেয়া হয় ল্যাপটপ, স্ক্যানারসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি।
রোববার ইসি সচিবালয়ে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সরকারে দেয়ার সময়সীমা অনুযায়ী ইসি নির্বাচনের পথে হাঁটছে বলে জানান তিনি। বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া হবে না।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে ঢুকতে চাই না। আমরা বিধিবিধানে মধ্যে থাকব। আমরা একটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
এবারের ভোটার তালিকা নির্বাচনকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর বর্তমান কমিশন।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার দেয়ার নির্বাচনের টাইম ফ্রেমকে মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি।’
পরে ইউএনডিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী নির্বাচনে সহায়তা করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোসহ নানা অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করছেন তারা।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লীলার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী ইউএনডিপি পর্যালোচনা করছে কীভাবে সহায়তা দেয়া যায়। রাজনৈতিক দল, সিভিল সোস্যাইটিসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে আলোচনা করছে। এরই অংশ হিসেবে ভোটার তালিকা হালনাগাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে ইউএনডিপি।’
গত ২ জানুয়ারি প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী, দেশের বর্তমান ভোটার ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।