আজ (সোমবার, ২০ জানুয়ারির) মধ্যে মেডিকেল পরীক্ষার ফল বাতিলসহ নতুন করে ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় মঙ্গলবার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুমকি তাদের। এছাড়া, পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিলসহ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরোপুরি বাতিলের দাবিও করেন তারা। এসময়, তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।
চলতি ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ নম্বর পেয়েও মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাননি। রাজধানীর মুগদা থেকে কন্যাকে নিয়ে শহীদ মিনারে এসেছেন মা। এতো পরিশ্রম করেও সন্তান মেডিকেলে পড়ার সুযোগ না পাওয়ার জন্য কোটাকে দায়ী করেন। আর বঞ্চিত শিক্ষার্থী বলছেন শুধু কোটা না, পুরো ফলাফল প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে। পরিবর্তন চান ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির।
অভিভাবকদের একজন বলেন, ‘কোটা তো বাতিল করা হয়েছে। আমার মেয়ে তো ৭৫ পেয়ে চান্স পেলো না কিন্তু আরেকজন কোটা থাকায় ৪০ পেয়ে চান্স পেয়েছে।’
পরীক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘কোনো সিস্টেমই ঠিক ছিল না। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে মার্ক ঠিকঠাক আসেনি।’
ক্লাস বর্জন করে সাদা অ্যাপ্রোন পরিহিত মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শহীদ মিনারে অবস্থান। এবারও কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনে স্লোগান।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার প্রতিবাদে ও ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
আজকের মধ্যে ফল বাতিল করার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। কোটা বাতিল করে ফল পুনঃপ্রকাশেরও দাবি করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘প্রশ্নপত্র দিয়ে নিয়ে যাওয়া, উদ্দীপক না দেয়া, প্রশ্ন ভুল, বাংলা ভার্সন ও ইংলিশ ভার্সনে অপশন না দেয়া এত সমস্যা মেডিকেল প্রশ্নে কেন থাকবে।’
এদিকে, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। ভর্তি পরীক্ষা ও চাকরিসহ সব পরীক্ষা থেকে অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবি জানান অভিভাবকরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, ‘মেডিকেল শিক্ষার্থীদের আজকে যে প্রোগ্রাম করেছে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি।’
বর্তমানে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ- জনগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ ও প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত আছে। সে অনুযায়ী রোববার মেডিকেল ফল প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ।