ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টিকটককে ৭৫ দিনের লাইফলাইন দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৭৫ দিনের মধ্যে চিনা অ্যাপটিকে তাগের মার্কিন ব্যবসা অন্য সংস্থার কাছে বিক্রি করার জন্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। ট্রাম্প বলেন, ‘টিকটকের জন্যে আমি মনে হয় একটু দুর্বল।’ উল্লেখ্য, গতবছর ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে টিকটকে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে সেই প্ল্যাটফর্মে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের নিজের দিকে টানতে টিকটককে ভালো ভাবেই ব্যবহার করতে পেরেছিলেন ট্রাম্প।

এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি রাতের দিকেই টিকটক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল আমেরিকায়। তবে কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পরই এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফের কাজ করতে শুরু করে মার্কিন মুলুকে। টিকটক বন্ধ হওয়ার পরই ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট পদে বসেই টিকটকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেবেন। এই আবহে যে সব প্রযুক্তি সংস্থার ওপর টিকটক নির্ভরশীল, তাদের প্রতি ট্রাম্প আবেদন করেন যাতে অ্যাপটিকে চালু রাখা হয়। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় টিকটকের সার্ভারের দায়িত্ব আছে ওব়্যাকল। ১৮ জানুয়ারি রাতেই তারা আমেরিকায় টিকটকের সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছিল। এই আবহে টিকটকের পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই দেশে।

এদিকে আমেরিকায় ফের চালু হতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছিল টিকটক। এদিকে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে টিকটকের সিইও-কে দেখা গিয়েছিল। উল্লেখ্য, আমেরিকায় রবিবার টিকটক বিরোধী আইন কার্যকর হয়। অবশ্য এর আগে থেকেই অনেক মার্কিনির মোবাইলে টিকটক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। পাশাপাশি অ্যাপল এবং গুগল স্টোর থেকে টিকটক উধাও হয়ে গিয়েছিল। আমেরিকায় ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করে। টিকটক ব্যবহারকারীরা আমেরিকায় এই অ্যাপে লগইন করলেই একটি বার্তা ভেসে উঠছিল স্ক্রিনে। তাতে লেখা ছিল – ‘আইনগতভাবে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর অর্থ হল, আপনি এখন থেকে টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে আমরা ভাগ্যবান যে ক্ষমতা গ্রহণের পর টিকটক পুনর্বহালে সমাধানমূলক পথ খুঁজতে আমাদের সঙ্গে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।’ সেই মতো ট্রাম্প ৭৫ দিনের লাইফলাইন দিল এই চিন ভিত্তিক সংস্থাটিকে।

প্রসঙ্গত, বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি আইনকে গত শুক্রবার বহাল রাখে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। সেই আইনে বলা হয়েছিল, ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মালিকানা বিক্রি না করলে আমেরিকায় কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হয়েছিল এই আইনটি। পরে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে সেই আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন কয়েকজন টিকটক ব্যবহারকারী। তবে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পায়নি চিনে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাটি। অবশ্য সেই আইনে এটাও বলা হয়েছিল যে যদি টিকটকের মালিকানা বিক্রির কোনও সম্ভাবনা থাকে, তাহলে প্রেসিডেন্ট ৯০ দিনের জন্যে টিকটকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন। এই আবহে টিকটককে আরও ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প।

নিউজটি শেয়ার করুন

টিকটককে ৭৫ দিনের লাইফলাইন দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৭৫ দিনের মধ্যে চিনা অ্যাপটিকে তাগের মার্কিন ব্যবসা অন্য সংস্থার কাছে বিক্রি করার জন্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। ট্রাম্প বলেন, ‘টিকটকের জন্যে আমি মনে হয় একটু দুর্বল।’ উল্লেখ্য, গতবছর ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে টিকটকে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে সেই প্ল্যাটফর্মে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের নিজের দিকে টানতে টিকটককে ভালো ভাবেই ব্যবহার করতে পেরেছিলেন ট্রাম্প।

এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি রাতের দিকেই টিকটক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল আমেরিকায়। তবে কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পরই এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফের কাজ করতে শুরু করে মার্কিন মুলুকে। টিকটক বন্ধ হওয়ার পরই ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট পদে বসেই টিকটকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেবেন। এই আবহে যে সব প্রযুক্তি সংস্থার ওপর টিকটক নির্ভরশীল, তাদের প্রতি ট্রাম্প আবেদন করেন যাতে অ্যাপটিকে চালু রাখা হয়। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় টিকটকের সার্ভারের দায়িত্ব আছে ওব়্যাকল। ১৮ জানুয়ারি রাতেই তারা আমেরিকায় টিকটকের সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছিল। এই আবহে টিকটকের পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই দেশে।

এদিকে আমেরিকায় ফের চালু হতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছিল টিকটক। এদিকে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে টিকটকের সিইও-কে দেখা গিয়েছিল। উল্লেখ্য, আমেরিকায় রবিবার টিকটক বিরোধী আইন কার্যকর হয়। অবশ্য এর আগে থেকেই অনেক মার্কিনির মোবাইলে টিকটক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। পাশাপাশি অ্যাপল এবং গুগল স্টোর থেকে টিকটক উধাও হয়ে গিয়েছিল। আমেরিকায় ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করে। টিকটক ব্যবহারকারীরা আমেরিকায় এই অ্যাপে লগইন করলেই একটি বার্তা ভেসে উঠছিল স্ক্রিনে। তাতে লেখা ছিল – ‘আইনগতভাবে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর অর্থ হল, আপনি এখন থেকে টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে আমরা ভাগ্যবান যে ক্ষমতা গ্রহণের পর টিকটক পুনর্বহালে সমাধানমূলক পথ খুঁজতে আমাদের সঙ্গে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।’ সেই মতো ট্রাম্প ৭৫ দিনের লাইফলাইন দিল এই চিন ভিত্তিক সংস্থাটিকে।

প্রসঙ্গত, বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি আইনকে গত শুক্রবার বহাল রাখে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। সেই আইনে বলা হয়েছিল, ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মালিকানা বিক্রি না করলে আমেরিকায় কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হয়েছিল এই আইনটি। পরে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে সেই আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন কয়েকজন টিকটক ব্যবহারকারী। তবে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পায়নি চিনে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাটি। অবশ্য সেই আইনে এটাও বলা হয়েছিল যে যদি টিকটকের মালিকানা বিক্রির কোনও সম্ভাবনা থাকে, তাহলে প্রেসিডেন্ট ৯০ দিনের জন্যে টিকটকের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন। এই আবহে টিকটককে আরও ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প।