হাসপাতাল থেকে হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন সাইফ
- আপডেট সময় : ১০:১৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সাইফ-করিনার বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক দুষ্কৃতী। শরিফুল সেখানে ঢুকেছিল চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে কিন্তু সাইফ বাধা দেওয়ায় ৬ বার নায়কের উপর চুরির কোপ বসায় সে। রক্তাক্ত অবস্থায় অটোয় চড়ে লীলাবতি হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন সাইফ। ৫ দিন পর লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার এদিন পায়ে হেঁটে হাসিমুখে বাড়ি ঢুকলেন সাইফ। অভিনেতার হাসিমুখ দেখে সন্তুষ্ট তাঁর অনুরাগীরা।
সাইফের বিল্ডিং-এর ১২ তলায় এইভাবে শরিফুলের ঢুকে পড়ে হামলার ঘটনায় হতবাক সকলেই। একইসঙ্গে সাইফ এবং তাঁর গোটা পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তায় শুভাকাঙ্খীরা। অবশেষে বড় পদক্ষেপ নিলেন নায়ক। সাইফ তাঁর পরিবারের সিকিউরিটির দায়িত্ব এবার অভিনেতা রনিত রায়ের সিকিউরিটি ফার্মের হাতে তুলে দিলেন।
বিস্তারিত জানতে রণিত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল হিন্দুস্তান টাইমস, সাইফ ও তাঁর পরিবারকে কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হয় সে সম্পর্কে বিশদে জানাতে অস্বীকার করেন রণিত রায়। তবে যোগ করেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সাইফের সাথে এখানে আছি। তিনি এখন ভালো আছেন এবং বাড়ি ফিরে এসেছেন’।
সাইফ ৫ দিন হাসপাতালে ছিলেন, এবং ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা তাঁকে দেখতে ছুটে এসেছিল রোজই। রানি মুখোপাধ্য়ায় থেকে সঞ্জয় দত্ত বাদ যাননি কেউই। নিয়মিত হাসপাতালে দেখা মিলেছে তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানের।
এদিন হাসিমুখে বাড়ির সামনে দেখা মিলল সাইফের। পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া ছিলেন সাইফ। হাতে চোটের চিহ্ন দেখা গেল। জিনস ও সাদা শার্টে রীতিমতো চকচক করলেন অভিনেতা। চোখে ছিল কালো ফ্রেমের চশমা। হাত জোর করে অনুরাগীদের উদ্দেশ্য ধন্যবাদ জানান সাইফ।
রোববারই এই মামলার অভিযুক্তকে মুম্বাই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশি হেফাজতে থাকা শরিফুলকে নিয়ে সোমবার তারা পুনরায় সাইফিনার বাড়ি পৌঁছায়, এবং অপরাধের দৃশ্যটি পুনর্নিমাণ করা হয়।
রোববার, শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদ রোহিলা আমিন ফকির নামের অভিযুক্তর পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছিল আদালত। অভিযুক্ত জানায়, সেই বাড়ি যে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের, এই বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না তাঁর। শুধু ভেবেছিলেন কোনও বড়লোকের বাড়ি এটি।
সাইফের উপর হামল হওয়ার পর থেকে দিদি করিশ্মার কাছেই ছিলেন কারিনা, সঙ্গে তৈমুর ও জেহ। খবর সোমবার ফের নিজের ফ্ল্যাটে ফেরেন তাঁরা।
লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মেরুদণ্ডের মধ্যেকার তরল বেরিয়ে এসেছিল হামলার ফলে। বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেত সঠিক সময়ে অস্ত্রোপচার শুরু না হলে। ভাগ্যক্রমে গুরুতর আঘাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। এবং বড় কোনো ক্ষতি হয়নি শরীরে।