ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২২ অঙ্গরাজ্যে মামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা ইতোমধ্যে দেশটির ২২টি অঙ্গরাজ্যে আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রইটার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল আদালতে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা এই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ম্যাসাচুসেটসসহ আরও ২০টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলও সমর্থন জানিয়েছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এক বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশটি অশোভন, অমার্জিত এবং পুরোপুরি অসাংবিধানিক। তিনি আরও বলেন, এই আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খাপ খায় না। এটি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার বড় ধরনের অপব্যবহার এবং আমরা তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সন্তানদের নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাব করা হয়, যা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে এবং আইনি বিরোধিতার মুখে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বচানের প্রচারাভিযান চলাকালে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় গেলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নীতি বাতিল করবেন তিন।সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প, তার মধ্যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশও ছিল।

ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে যদি অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হবেন না। এদিকে জন্ম নেওয়া শিশুর মা-বাবা যদি বৈধ ভাবেই আমেরিকায় গিয়ে থাকেন, কিন্তু তাদের মধ্যে কোনও একজন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাহলেও সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না।

এছাড়া কেউ যদি শিক্ষার্থী ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা কিংবা পর্যটন ভিসায় সেখানে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তাহলেও সেই শিশু আর মার্কিন নাগরিক হবে না।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই আদেশ।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪ তম অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, দেশটির ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশু মার্কিন নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে। মূলত আফ্রিকা থেকে আসা কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের সন্তানদের স্বীকৃতি দিতে আজ থেকে ১৫০ বছর আগে এ অধ্যাদেশ সংযোজন করা হয়েছিল মার্কিন সংবিধানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২২ অঙ্গরাজ্যে মামলা

আপডেট সময় : ০১:১৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা ইতোমধ্যে দেশটির ২২টি অঙ্গরাজ্যে আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রইটার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল আদালতে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা এই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ম্যাসাচুসেটসসহ আরও ২০টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলও সমর্থন জানিয়েছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এক বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশটি অশোভন, অমার্জিত এবং পুরোপুরি অসাংবিধানিক। তিনি আরও বলেন, এই আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খাপ খায় না। এটি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার বড় ধরনের অপব্যবহার এবং আমরা তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সন্তানদের নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাব করা হয়, যা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে এবং আইনি বিরোধিতার মুখে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বচানের প্রচারাভিযান চলাকালে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় গেলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নীতি বাতিল করবেন তিন।সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প, তার মধ্যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশও ছিল।

ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে যদি অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হবেন না। এদিকে জন্ম নেওয়া শিশুর মা-বাবা যদি বৈধ ভাবেই আমেরিকায় গিয়ে থাকেন, কিন্তু তাদের মধ্যে কোনও একজন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাহলেও সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না।

এছাড়া কেউ যদি শিক্ষার্থী ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা কিংবা পর্যটন ভিসায় সেখানে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তাহলেও সেই শিশু আর মার্কিন নাগরিক হবে না।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই আদেশ।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪ তম অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, দেশটির ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশু মার্কিন নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে। মূলত আফ্রিকা থেকে আসা কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের সন্তানদের স্বীকৃতি দিতে আজ থেকে ১৫০ বছর আগে এ অধ্যাদেশ সংযোজন করা হয়েছিল মার্কিন সংবিধানে।