ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জিয়াবাদ নিয়ে দয়া করে মন্তব্য করবেন না: জয়নুল আবদিন ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, যে জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, যে জিয়া বাংলাদেশকে মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত দিয়েছেন, যেই জিয়া সার্ক গঠন করেছেন, যেই জিয়া খাল খনন করে কৃষকদের সেচের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, যে জিয়ার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করেছেন; সেই জিয়াবাদ নিয়ে দয়া করে কোনো মন্তব্য করবেন না।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক ফোরামের উদ্যোগে জনগণের উপর অযৌক্তিক ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল বুধবার জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর, ‘জিয়াবাদ বা মুজিববাদও আর চাই না’-এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আদর্শিক বিভাজন চাই না, দেশে সবার ওপরে জনগণ থাকবে।

একই অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আর কখনো মাথা ঘামাবেন না। অতীতে করেছেন শেখ হাসিনার জন্য, এখন বাংলাদেশে শেখ হাসিনা নেই। বাংলাদেশের সীমান্ত নিয়ে ন্যায্য দাবি আপনাকে দিতে হবে। আর টালবাহানা চলবে না।

জয়নুল আবদিন আরও বলেন, হাসিনার পতন শুধু জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এবং গণতান্ত্রিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করেছি। জেল জুলুম হামলা মামলা সব সহ্য করেছি। রাতে আমাদের ঘুম হারাম ছিল, কবরস্থানে ঘুমিয়েছি।

সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে বিদায় করতে পেরেছি। আমরা আশা করি বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন দেবেন ড. ইউনূস, সে নির্বাচনে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশে সংস্কার হবে, আইন প্রণয়ন হবে। সব কিছুই হবে, কিন্তু তার আগে ষড়যন্ত্র করে ১/১১ এর মতো বিলম্বিত করার কোনো অবকাশ বাংলাদেশে আর হবে না, যোগ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের এই উপদেষ্টা বলেন, অনেকেই বলে বিএনপির লোক চলে যাবে। আওয়ামী লীগ এত বছর জুলুম নির্যাতন করেও বিএনপির একটি কর্মীও এত বছরে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি। অতএব বিএনপি খাঁটি গণতন্ত্রী, বিএনপি সংবিধানে অনুগত, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদদের আদর্শের দল। আমরা জীবন দেব, বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছি, সামনেও করব।

ফারুক বলেন, বাংলাদেশে আর ডিম, চাল, পেঁয়াজের সিন্ডিকেট হবে না। এমন বাংলাদেশ গড়ব, যে বাংলাদেশের বিচারের নামে আর প্রহসন হবে না। এমন বাংলাদেশ গড়ব, যেই বাংলাদেশে আর আয়নাঘর হবে না। এমন দেশ গড়ব, যে দেশে আর দুর্নীতি হবে না। এমন বাংলাদেশ গড়ব, যে দেশে আইনের শাসন চলবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তি ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সফল করেছে। সেই সফলতা যেন নষ্ট না হয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

জিয়াবাদ নিয়ে দয়া করে মন্তব্য করবেন না: জয়নুল আবদিন ফারুক

আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, যে জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, যে জিয়া বাংলাদেশকে মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত দিয়েছেন, যেই জিয়া সার্ক গঠন করেছেন, যেই জিয়া খাল খনন করে কৃষকদের সেচের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, যে জিয়ার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করেছেন; সেই জিয়াবাদ নিয়ে দয়া করে কোনো মন্তব্য করবেন না।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক ফোরামের উদ্যোগে জনগণের উপর অযৌক্তিক ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল বুধবার জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর, ‘জিয়াবাদ বা মুজিববাদও আর চাই না’-এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আদর্শিক বিভাজন চাই না, দেশে সবার ওপরে জনগণ থাকবে।

একই অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আর কখনো মাথা ঘামাবেন না। অতীতে করেছেন শেখ হাসিনার জন্য, এখন বাংলাদেশে শেখ হাসিনা নেই। বাংলাদেশের সীমান্ত নিয়ে ন্যায্য দাবি আপনাকে দিতে হবে। আর টালবাহানা চলবে না।

জয়নুল আবদিন আরও বলেন, হাসিনার পতন শুধু জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এবং গণতান্ত্রিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করেছি। জেল জুলুম হামলা মামলা সব সহ্য করেছি। রাতে আমাদের ঘুম হারাম ছিল, কবরস্থানে ঘুমিয়েছি।

সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে বিদায় করতে পেরেছি। আমরা আশা করি বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন দেবেন ড. ইউনূস, সে নির্বাচনে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশে সংস্কার হবে, আইন প্রণয়ন হবে। সব কিছুই হবে, কিন্তু তার আগে ষড়যন্ত্র করে ১/১১ এর মতো বিলম্বিত করার কোনো অবকাশ বাংলাদেশে আর হবে না, যোগ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের এই উপদেষ্টা বলেন, অনেকেই বলে বিএনপির লোক চলে যাবে। আওয়ামী লীগ এত বছর জুলুম নির্যাতন করেও বিএনপির একটি কর্মীও এত বছরে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি। অতএব বিএনপি খাঁটি গণতন্ত্রী, বিএনপি সংবিধানে অনুগত, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদদের আদর্শের দল। আমরা জীবন দেব, বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছি, সামনেও করব।

ফারুক বলেন, বাংলাদেশে আর ডিম, চাল, পেঁয়াজের সিন্ডিকেট হবে না। এমন বাংলাদেশ গড়ব, যে বাংলাদেশের বিচারের নামে আর প্রহসন হবে না। এমন বাংলাদেশ গড়ব, যেই বাংলাদেশে আর আয়নাঘর হবে না। এমন দেশ গড়ব, যে দেশে আর দুর্নীতি হবে না। এমন বাংলাদেশ গড়ব, যে দেশে আইনের শাসন চলবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তি ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সফল করেছে। সেই সফলতা যেন নষ্ট না হয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।