ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শীতে কাঁপছে দেশ, দেখা নেই সূর্যের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাঘের শীতে কাঁপছে রাজধানীসহ পুরো দেশ। ঘন কুয়াশার দাপটে আজ (বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীসহ কোথাও কোথাও দেখা মেলেনি সূর্যের। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হিমশীতল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীর বাঘাবাড়ীতে, ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার দিবাগত রাত থেকেই রাজধানীতে বাড়তে থাকে কুয়াশা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। যার ফলে বেড়েছে শীতের অনুভূতি।

গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের এ জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় মিলছে না সূর্যের দেখা, জেলার মানুষের জনজীবন কাবু করে দিচ্ছে শীত। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথেঘাটে।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ার কারণে সড়কে রয়েছে যানবাহনের চাপ। শীতের কারণে কাজের প্রয়োজনে যারা রাস্তায় বেরিয়েছেন তারা গরম কাপড় পরেছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। অর্থাৎ গরমের অনুভূতি কিছুটা বাড়তে পারে। তবে দেশের অন্যান্য জায়গায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে, আজ সকালে পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলায় প্রায় সমপরিমাণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনাজপুর, কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলার মানুষ।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।

তাপমাত্রা তুলনামূলক স্বাভাবিক থাকলেও হিম বাতাসে বেড়ে যাচ্ছে ঠান্ডার মাত্রা। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘনকুয়াশা। দেশের বেশিরভাগ জেলায় দীর্ঘসময় ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি।

শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে উত্তাপ নেন। সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায় যানবাহন। শীতের কারণে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ।

এদিকে, লালমনিরহাটে শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে তিস্তা ও ধরলার চরাঞ্চলের মানুষের। প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। সেই সাথে কনকনে ঠান্ডায় জ্বর, সর্দি, কাশি সহ নানারকম শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এখানকার মানুষ। হাসপাতাল গুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

তিস্তা ও ধরলা নদী বেষ্টিত জেলা লালমনিরহাট। বেলা বাড়লেও মিলেনা সুর্যের দেখা। ফলে শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শীতজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি সহ নানারকম রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকটে লোকজন মেঝেতে আশ্রয় নিয়েছে।

প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে শীতার্তরা কাজে বেরুতে পারছেন না বলে জানায় স্থানীয়রা।

শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়দের নানা রকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩-৪ দিন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এদিকে, তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোটাভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে ২০০-৩০০ বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া প্রতিদিন ৩০০-৪০০ শিশু রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রকিব সাদী।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামী শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আর সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীতে কাঁপছে দেশ, দেখা নেই সূর্যের

আপডেট সময় : ১২:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

মাঘের শীতে কাঁপছে রাজধানীসহ পুরো দেশ। ঘন কুয়াশার দাপটে আজ (বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীসহ কোথাও কোথাও দেখা মেলেনি সূর্যের। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হিমশীতল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীর বাঘাবাড়ীতে, ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার দিবাগত রাত থেকেই রাজধানীতে বাড়তে থাকে কুয়াশা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। যার ফলে বেড়েছে শীতের অনুভূতি।

গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের এ জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় মিলছে না সূর্যের দেখা, জেলার মানুষের জনজীবন কাবু করে দিচ্ছে শীত। সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথেঘাটে।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ার কারণে সড়কে রয়েছে যানবাহনের চাপ। শীতের কারণে কাজের প্রয়োজনে যারা রাস্তায় বেরিয়েছেন তারা গরম কাপড় পরেছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে, তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। অর্থাৎ গরমের অনুভূতি কিছুটা বাড়তে পারে। তবে দেশের অন্যান্য জায়গায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে, আজ সকালে পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলায় প্রায় সমপরিমাণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনাজপুর, কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলার মানুষ।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।

তাপমাত্রা তুলনামূলক স্বাভাবিক থাকলেও হিম বাতাসে বেড়ে যাচ্ছে ঠান্ডার মাত্রা। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘনকুয়াশা। দেশের বেশিরভাগ জেলায় দীর্ঘসময় ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি।

শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে উত্তাপ নেন। সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায় যানবাহন। শীতের কারণে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ।

এদিকে, লালমনিরহাটে শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে তিস্তা ও ধরলার চরাঞ্চলের মানুষের। প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। সেই সাথে কনকনে ঠান্ডায় জ্বর, সর্দি, কাশি সহ নানারকম শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এখানকার মানুষ। হাসপাতাল গুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

তিস্তা ও ধরলা নদী বেষ্টিত জেলা লালমনিরহাট। বেলা বাড়লেও মিলেনা সুর্যের দেখা। ফলে শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শীতজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি সহ নানারকম রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকটে লোকজন মেঝেতে আশ্রয় নিয়েছে।

প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে শীতার্তরা কাজে বেরুতে পারছেন না বলে জানায় স্থানীয়রা।

শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়দের নানা রকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩-৪ দিন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এদিকে, তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোটাভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে ২০০-৩০০ বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া প্রতিদিন ৩০০-৪০০ শিশু রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রকিব সাদী।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামী শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আর সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।