ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্ষমতায় বসেই মার্কিন অভিবাসীদের জীবনকে ভয়াবহ এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে একের পর এক নিচ্ছেন কঠোর পদক্ষেপ। মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারির পর এবার টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৫০০ সৈন্য পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে যেকোনো স্থানে গ্রেপ্তার অভিযানের অনুমতির পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে ধরপাকড়ের খবর পাওয়া গেছে।

ধরপাকড়ের ভয়ে দল বেঁধে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীরা। যাদের বেশিরভাগই মেক্সিকো, স্পেন ও ভেনিজুয়েলার নাগরিক।

অবৈধ অভিবাসীদের একজন বলেন, ‘আমাদেরকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় চেকপয়েন্ট বসিয়েছে মার্কিন পুলিশ। এমনকি গির্জা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরে আনা হচ্ছে। সান দিয়েগোতে ইতোমধ্যেই পুরোদমে চলছে ধরপাকড়।’

আরেকজন বলেন, ‘সবাই অপরাধী নয়। কেউ কেউ অপরাধ করলেও বাকিরা নির্দোষ। যারা বহু বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছে, আমি মনে করি সেসব অভিবাসীদের একটা সুযোগ দেয়া উচিত।’

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে তা হলো অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে তার কঠোর নীতি। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। এই আদেশ অনুযায়ী, গণহারে অবৈধদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে।

সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে ১৫০০ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। সঙ্গে পাঠানো হবে দুটি ‘সি-সেভেনটিন’ ও দুটি ‘সি ওয়ান-হান্ড্রেট-থার্টি’ এয়ারক্রাফট। বিষয়টি নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মার্কিন সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো ও টেক্সাসের এল পাসোতে পাঠানো হবে এসব সৈন্য।

অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশ বুধবার (২২ জানুয়ারি) কংগ্রেসে পাশ হয়েছে। এর পক্ষে ভোট ২৬৩ ও বিপক্ষে ১৫৬ আইনপ্রণেতা ভোট দেন।

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস সদস্য মাইক কোলিন্স বলেন, ‘ট্রাম্পের তরফ থেকে এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এক কথায় বলতে গেলে দিনের পর দিন যুক্তরাষ্ট্রে এসব মানুষগুলো অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। এবার তাদের ধরে যার যার দেশে পাঠানো হবে।’

যুক্তরাষ্ট্র যখন অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সব ব্যবস্থা করেই ফেলেছে তখন উপায় না দেখে তাদের আশ্রয়ের জায়গা প্রস্তত করছে মেক্সিকো। তবে দেশটি সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেবল মেক্সিকান নাগরিকরাই ঠাঁই পাবে সেখানে।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম বলেন, ‘উত্তর সীমান্তে যারা আছেন তাদের অবশ্যই মানবিক দৃষ্টিতে দেখা হবে। যারা সেচ্ছায় দেশে আসতে চান তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।’

শুধু বিতাড়িত করাই না যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের শরণার্থী প্রবেশও স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার শরণার্থী প্রোগ্রামের আওতাধীন যারা আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন তাদের যাত্রাও বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

নিউজটি শেয়ার করুন

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ ট্রাম্পের

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

ক্ষমতায় বসেই মার্কিন অভিবাসীদের জীবনকে ভয়াবহ এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে একের পর এক নিচ্ছেন কঠোর পদক্ষেপ। মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারির পর এবার টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৫০০ সৈন্য পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে যেকোনো স্থানে গ্রেপ্তার অভিযানের অনুমতির পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে ধরপাকড়ের খবর পাওয়া গেছে।

ধরপাকড়ের ভয়ে দল বেঁধে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীরা। যাদের বেশিরভাগই মেক্সিকো, স্পেন ও ভেনিজুয়েলার নাগরিক।

অবৈধ অভিবাসীদের একজন বলেন, ‘আমাদেরকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় চেকপয়েন্ট বসিয়েছে মার্কিন পুলিশ। এমনকি গির্জা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরে আনা হচ্ছে। সান দিয়েগোতে ইতোমধ্যেই পুরোদমে চলছে ধরপাকড়।’

আরেকজন বলেন, ‘সবাই অপরাধী নয়। কেউ কেউ অপরাধ করলেও বাকিরা নির্দোষ। যারা বহু বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছে, আমি মনে করি সেসব অভিবাসীদের একটা সুযোগ দেয়া উচিত।’

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে তা হলো অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে তার কঠোর নীতি। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। এই আদেশ অনুযায়ী, গণহারে অবৈধদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে।

সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে ১৫০০ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। সঙ্গে পাঠানো হবে দুটি ‘সি-সেভেনটিন’ ও দুটি ‘সি ওয়ান-হান্ড্রেট-থার্টি’ এয়ারক্রাফট। বিষয়টি নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মার্কিন সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো ও টেক্সাসের এল পাসোতে পাঠানো হবে এসব সৈন্য।

অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশ বুধবার (২২ জানুয়ারি) কংগ্রেসে পাশ হয়েছে। এর পক্ষে ভোট ২৬৩ ও বিপক্ষে ১৫৬ আইনপ্রণেতা ভোট দেন।

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস সদস্য মাইক কোলিন্স বলেন, ‘ট্রাম্পের তরফ থেকে এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এক কথায় বলতে গেলে দিনের পর দিন যুক্তরাষ্ট্রে এসব মানুষগুলো অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। এবার তাদের ধরে যার যার দেশে পাঠানো হবে।’

যুক্তরাষ্ট্র যখন অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সব ব্যবস্থা করেই ফেলেছে তখন উপায় না দেখে তাদের আশ্রয়ের জায়গা প্রস্তত করছে মেক্সিকো। তবে দেশটি সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেবল মেক্সিকান নাগরিকরাই ঠাঁই পাবে সেখানে।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম বলেন, ‘উত্তর সীমান্তে যারা আছেন তাদের অবশ্যই মানবিক দৃষ্টিতে দেখা হবে। যারা সেচ্ছায় দেশে আসতে চান তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।’

শুধু বিতাড়িত করাই না যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের শরণার্থী প্রবেশও স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার শরণার্থী প্রোগ্রামের আওতাধীন যারা আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন তাদের যাত্রাও বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।