ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলারের অর্থ ফিরিয়ে আনতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের সহায়তা চেয়েছেন।

বুধবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ক্রিস্টিন লাগার্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় তিনি ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কাছে এই সহায়তা চান বলে জানিয়েছে বাসস।

অধ্যাপক ইউনূস ক্রিস্টিন লাগার্ডেকে বলেন, স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরা শুধুমাত্র দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে প্রায় ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন “এটি ছিল একটি বিশাল ডাকাতি”। তিনি উল্লেখ করেন, প্রথমে এসব ধনকুবেররা ব্যাংক দখল করে নেয় এবং পরে যে ঋণ নিয়েছে, তা আর পরিশোধ করেনি।

সরকারের পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার উদ্যোগে সমর্থন জানান লাগার্ড এবং তিনি সুপারিশ করেছেন যে, বাংলাদেশ এই অর্থ পুনরুদ্ধার ও দেশে ফেরানোর জন্য আইএমএফের সাহায্য নিতে পারে।

বৈঠকে তারা জুলাই বিপ্লব এবং বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। লাগার্ড বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি তার সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলারের অর্থ ফিরিয়ে আনতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের সহায়তা চেয়েছেন।

বুধবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ক্রিস্টিন লাগার্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় তিনি ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কাছে এই সহায়তা চান বলে জানিয়েছে বাসস।

অধ্যাপক ইউনূস ক্রিস্টিন লাগার্ডেকে বলেন, স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরা শুধুমাত্র দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে প্রায় ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন “এটি ছিল একটি বিশাল ডাকাতি”। তিনি উল্লেখ করেন, প্রথমে এসব ধনকুবেররা ব্যাংক দখল করে নেয় এবং পরে যে ঋণ নিয়েছে, তা আর পরিশোধ করেনি।

সরকারের পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার উদ্যোগে সমর্থন জানান লাগার্ড এবং তিনি সুপারিশ করেছেন যে, বাংলাদেশ এই অর্থ পুনরুদ্ধার ও দেশে ফেরানোর জন্য আইএমএফের সাহায্য নিতে পারে।

বৈঠকে তারা জুলাই বিপ্লব এবং বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। লাগার্ড বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি তার সমর্থনের কথাও ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।