ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রথমে খুশি করে পরে গর্তে ফেলা দেওয়া হয়েছে তাদের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পেপ গার্দিওলা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ম্যানচেস্টার সিটর জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠেছিল আনুষ্ঠানিকতার। এর মধ্যেই যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত দলটি। এই মৌসুম থেকে নতুন ফরম্যাটে শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। আর তাতে প্রথমবারেই বিপাকে পড়ে গেছে সিটি।

এই মৌসুমে ৩২ দলের মধ্যে প্রথম ২৪টি দলেরই নকআউট পর্বে যাওয়ার সুযোগ আছে। বড় দলগুলোকে বাড়তি সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত। এরপরও প্রথম ৬ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়ে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে সিটি। গতকাল পিএসজির বিপক্ষে তাই বাঁচামরার লড়াইয়ে নেমেছিল সিটি। এবং ৫৩ মিনিটের মধ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে হেরে গেছে সিটি। তাতে শীর্ষ ২৪ থেকে ছিটকে গেছে সিটি।

এমনিতেই পিএসজি-সিটি ম্যাচটি হয়ে উঠেছিল মহারণ। কারণ, পেট্রোডলারে ধন্য অন্য ক্লাব পিএসজির অবস্থাও ছিল করুণ। ৬ ম্যাচ শেষে ৭ পয়েন্ট ছিল পিএসজির। ২০১২ সালের পর থেকে কখনো গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ না পড়া পিএসজি ও সিটির লড়াইয়ে গতকাল স্বাগতিক দলই শেষ হাসি হেসেছে।

আগামী ২৯ জানুয়ারি গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে এখন ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে জিততেই সিটিকে। এবং এরপরও অন্য ক্লাবগুলোর ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের।
মাঝে ভয়ংকর বাজে সময় কাটানো সিটি ঘরোয়া পর্যায়ে সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে। সর্বশেষ চার ম্যাচে ২০ গোল করা সিটি অবশ্য গতকাল ব্যাকফুটে ছিল।

বল দখলের রাখার জন্য বিখ্যাত গার্দিওলার দল গতকাল বল দখলে রাখা বা পাস দেওয়া-সবকিছুতেই পিছিয়ে ছিল লুইস এনরিকের পিএসজির বিপক্ষে। সিটির চেয়ে ২৫৯টি বেশি পাস দিয়েছে পিএসজি। নিখুঁত পাস দেওয়াতেও ৯% এগিয়ে ছিল তারা। আর চিটি যেখানে ৩৬ ভাগ সময় বল দখলে রেখেছে, পিএসজি রেখেছে ৬৪ ভাগ সময়!

গার্দিওলা তাই মেনে নিয়েছেন গতকাল পিএসজিই সেরা ছিল, ‘আমরা আমাদের মুহূর্ত পেয়েছি, ওরা ওদের। কিন্তু ওরাই ভালো ছিল। ওরাই দ্রুত খেলেছে, লড়াই জিতেছে, আমরা সেটা সামাল দিতে পারেনি। ওরা খুব দ্রুত ছিল। সেরা দল জিতেছে। আমরা যেমন চেয়েছি, ম্যাচ কখনো এমন ছিল না।’

তবু খেলার ধারার বিপরীতে এগিয়ে গেছে সিটি। ৫০ মিনিটে বদলি নামা গ্রিলিশ গোল করেন। ৩ মিনিট পর হলান্ড ব্যবধান বাড়ান। কিন্তু আরেক বদলি দেমবেলে আবার ৩ মিনিট না যেতেই ব্যবধান কমিয়ে ফেলেন। ৬০ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান বারকোলা। ৭৮ মিনিটে প্রাপ্য গোলটা পান জোয়াও নেভেস। যোগ করা সময়ে জয় নিশ্চিত করেছেন গনসালো রামোস।

গত নভেম্বরে ফেইনুর্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও জিততে ব্যর্থ হয়েছিল সিটি। গতকাল তো হেরেই বসল তারা। সিটি তাই মেনে নিয়েছেন, নকআউটে না যাওয়ার শঙ্কাটা উড়িয়ে দিতে পারছেন না তিনি, ‘এটা হতে পারে। দেখি না। ব্রাগার বিপক্ষে জিততে না পারলে এটা আমাদের প্রাপ্য না। সব অ্যাওয়ে ম্যাচই কঠিন। কিন্তু এটাই বাস্তবতা, আমরা যথেষ্ট পয়েন্ট পাইনি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রথমে খুশি করে পরে গর্তে ফেলা দেওয়া হয়েছে তাদের

আপডেট সময় : ০১:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

পেপ গার্দিওলা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ম্যানচেস্টার সিটর জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠেছিল আনুষ্ঠানিকতার। এর মধ্যেই যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত দলটি। এই মৌসুম থেকে নতুন ফরম্যাটে শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। আর তাতে প্রথমবারেই বিপাকে পড়ে গেছে সিটি।

এই মৌসুমে ৩২ দলের মধ্যে প্রথম ২৪টি দলেরই নকআউট পর্বে যাওয়ার সুযোগ আছে। বড় দলগুলোকে বাড়তি সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত। এরপরও প্রথম ৬ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়ে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে সিটি। গতকাল পিএসজির বিপক্ষে তাই বাঁচামরার লড়াইয়ে নেমেছিল সিটি। এবং ৫৩ মিনিটের মধ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে হেরে গেছে সিটি। তাতে শীর্ষ ২৪ থেকে ছিটকে গেছে সিটি।

এমনিতেই পিএসজি-সিটি ম্যাচটি হয়ে উঠেছিল মহারণ। কারণ, পেট্রোডলারে ধন্য অন্য ক্লাব পিএসজির অবস্থাও ছিল করুণ। ৬ ম্যাচ শেষে ৭ পয়েন্ট ছিল পিএসজির। ২০১২ সালের পর থেকে কখনো গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ না পড়া পিএসজি ও সিটির লড়াইয়ে গতকাল স্বাগতিক দলই শেষ হাসি হেসেছে।

আগামী ২৯ জানুয়ারি গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে এখন ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে জিততেই সিটিকে। এবং এরপরও অন্য ক্লাবগুলোর ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের।
মাঝে ভয়ংকর বাজে সময় কাটানো সিটি ঘরোয়া পর্যায়ে সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে। সর্বশেষ চার ম্যাচে ২০ গোল করা সিটি অবশ্য গতকাল ব্যাকফুটে ছিল।

বল দখলের রাখার জন্য বিখ্যাত গার্দিওলার দল গতকাল বল দখলে রাখা বা পাস দেওয়া-সবকিছুতেই পিছিয়ে ছিল লুইস এনরিকের পিএসজির বিপক্ষে। সিটির চেয়ে ২৫৯টি বেশি পাস দিয়েছে পিএসজি। নিখুঁত পাস দেওয়াতেও ৯% এগিয়ে ছিল তারা। আর চিটি যেখানে ৩৬ ভাগ সময় বল দখলে রেখেছে, পিএসজি রেখেছে ৬৪ ভাগ সময়!

গার্দিওলা তাই মেনে নিয়েছেন গতকাল পিএসজিই সেরা ছিল, ‘আমরা আমাদের মুহূর্ত পেয়েছি, ওরা ওদের। কিন্তু ওরাই ভালো ছিল। ওরাই দ্রুত খেলেছে, লড়াই জিতেছে, আমরা সেটা সামাল দিতে পারেনি। ওরা খুব দ্রুত ছিল। সেরা দল জিতেছে। আমরা যেমন চেয়েছি, ম্যাচ কখনো এমন ছিল না।’

তবু খেলার ধারার বিপরীতে এগিয়ে গেছে সিটি। ৫০ মিনিটে বদলি নামা গ্রিলিশ গোল করেন। ৩ মিনিট পর হলান্ড ব্যবধান বাড়ান। কিন্তু আরেক বদলি দেমবেলে আবার ৩ মিনিট না যেতেই ব্যবধান কমিয়ে ফেলেন। ৬০ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান বারকোলা। ৭৮ মিনিটে প্রাপ্য গোলটা পান জোয়াও নেভেস। যোগ করা সময়ে জয় নিশ্চিত করেছেন গনসালো রামোস।

গত নভেম্বরে ফেইনুর্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও জিততে ব্যর্থ হয়েছিল সিটি। গতকাল তো হেরেই বসল তারা। সিটি তাই মেনে নিয়েছেন, নকআউটে না যাওয়ার শঙ্কাটা উড়িয়ে দিতে পারছেন না তিনি, ‘এটা হতে পারে। দেখি না। ব্রাগার বিপক্ষে জিততে না পারলে এটা আমাদের প্রাপ্য না। সব অ্যাওয়ে ম্যাচই কঠিন। কিন্তু এটাই বাস্তবতা, আমরা যথেষ্ট পয়েন্ট পাইনি।’