রেলওয়ের রানিং স্টাফরা চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের জন্য শুধুমাত্র নিয়মিত রানিং অ্যালাউন্স পাবেন, ভ্রমণ বা দৈনিক ভাতা আর প্রাপ্য হবে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এই চিঠি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হলেও বিষয়টি জানা গেছে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি)।

অর্থ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২১ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৯১ নম্বর স্মারকে জারি করা পত্রের (খ) অনুচ্ছেদ অপরিবর্তিত থাকবে এবং (ক) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে বলা হয়েছে যে, রানিং স্টাফরা রেলওয়ে এস্টাবিলিশমেন্ট কোডের বিধান অনুযায়ী রানিং অ্যালাউন্স প্রাপ্য হবেন। তবে, এ অ্যালাউন্স মূল বেতনের চেয়ে বেশি হতে পারবে না।

এ অবস্থায়, মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহাল এবং নিয়োগপত্রের শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে সারা দেশে রেল চলাচল বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রানিং স্টাফরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক হিসাব এবং ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল।

রেলওয়ের রানিং স্টাফ বলতে ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শকদের (টিটিই) বোঝানো হয়।

রানিং স্টাফদের প্রধান সমন্বয়কারী মো. মজিবুর রহমান বলেন, “২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল কর্মবিরতি পালন করলে সারা দেশে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তখন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়, কিন্তু বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সংকটের সমাধান হয়নি।”

রানিং স্টাফরা দীর্ঘ ১৬০ বছর ধরে মাইলেজ সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজের জন্য বেসিক বেতনের ভিত্তিতে বাড়তি অর্থ দেওয়া হতো। অবসরের পরও এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন সুবিধার হিসাব করা হতো। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২১ সালের সিদ্ধান্তে এই সুবিধা সীমিত করা হয়।

রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মো. মজিবুর রহমান বলেন, ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল কর্মবিরতি পালন করলে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এরপর বারবার আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিলেও সংকটের কোনো সমাধান এখন পর্যন্ত হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তিনবার সময় দেওয়া হয়েছে।