ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বীরেন্দ্র সেহওয়াগের বিবাহ বিচ্ছেদের জল্পনা

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ওপেনার এবং বিস্ফোরক ব্যাটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগের জীবনেও বিবাহ বিচ্ছেদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ২০ বছরের দাম্পত্যের পর তিনি তাঁর স্ত্রী আরতি আহলাওয়াতের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেন বলে জল্পনা চলছে। ২০০৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এই দম্পতি ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে ইতিমধ্যেই আনফলো করেছেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পারিবারিক সূত্র মতে, তাঁরা ইতিমধ্যেই কয়েক মাস ধরে আলাদা থাকছেন এবং শীঘ্রই তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হতে পারে। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য ক্রিকেট বিশ্বে বিখ্যাত সেহওয়াগ এবং আরতি দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। ২০০৭ সালে বড় ছেলে আর্যবীরের জন্ম হয়েছিল এবং ২০১০ সালে ছোট ছেলে বেদান্তর জন্ম হয়েছিল। দীর্ঘদিন একসঙ্গে সংসার করলেও, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী তাঁদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করেছে বলে জানা গিয়েছে।

গত বছরের দীপাবলি উৎসবের সময় সেহওয়াগ সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি শেয়ার করেছিলেন, তাতে তাঁর দুই ছেলে এবং মা ছিলেন। কিন্তু কোনও ছবিতেই আরতি ছিলেন না। এছাড়াও, আরতির নামও কোথাও উল্লেখ করেননি সেহওয়াগ। তাঁর এই নীরবতা তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জনকে আরও জোরালো করেছে। দুই সপ্তাহ আগে সেহওয়াগ পালক্কাড়ের বিশ্ব নাগয়ক্ষী মন্দিরে গিয়েছিলেন। এই ভ্রমণের ছবিগুলি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। এখানেও স্ত্রী আরতির কোনও উল্লেখ ছিল না। এরপর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে সেহওয়াগ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বক্তব্য না জানালেও, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের একসঙ্গে দেখা না যাওয়া অনুরাগীদের মধ্যে জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে।

দিল্লির মেয়ে আরতি সাধারণত জনসমক্ষে খুব একটা আসেন না। সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও দূরে থাকেন। ১৯৮০ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণকারী আরতি লেডি ইরউইন সেকেন্ডারি স্কুল, ভারতীয় বিদ্যাভবনে পড়াশোনা করেছেন। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৈত্রেয়ী কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। এই দম্পতির প্রেমকাহিনী শুরু হয় ২০০০ সালের গোড়ার দিকে এবং ২০০৪ সালে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাসভবনে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের প্রেম পরিণতি পায় বিয়ের পিঁড়িতে। পরবর্তী বছরগুলিতে সেহওয়াগ এবং আরতিকে আদর্শ দম্পতি হিসেবে দেখা হত। সেহওয়াগ ক্রিকেটে সাফল্যের শিখরে পৌঁছলে, আরতি পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতেন। তবে, এখন তাঁদের সম্পর্কে কিছুদিন ধরে ফাটল ধরেছে, যা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

২০১৫ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর সেহওয়াগকে ক্রিকেট সংক্রান্ত বিভিন্ন ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। ন্যাডার অ্যান্টি ডোপিং আপিল প্যানেলের সদস্য হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। সেহওয়াগের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনও আলোচনা হয়নি। তবে, বিবাহ বিচ্ছেদের খবরের মাঝে এটি চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। সেহওয়াগ বা আরতি কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও, তাঁদের বিচ্ছেদের লক্ষণগুলি ক্রমশঃ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বীরেন্দ্র সেহওয়াগের বিবাহ বিচ্ছেদের জল্পনা

আপডেট সময় : ০৯:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ওপেনার এবং বিস্ফোরক ব্যাটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগের জীবনেও বিবাহ বিচ্ছেদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ২০ বছরের দাম্পত্যের পর তিনি তাঁর স্ত্রী আরতি আহলাওয়াতের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেন বলে জল্পনা চলছে। ২০০৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এই দম্পতি ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে ইতিমধ্যেই আনফলো করেছেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পারিবারিক সূত্র মতে, তাঁরা ইতিমধ্যেই কয়েক মাস ধরে আলাদা থাকছেন এবং শীঘ্রই তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হতে পারে। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য ক্রিকেট বিশ্বে বিখ্যাত সেহওয়াগ এবং আরতি দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। ২০০৭ সালে বড় ছেলে আর্যবীরের জন্ম হয়েছিল এবং ২০১০ সালে ছোট ছেলে বেদান্তর জন্ম হয়েছিল। দীর্ঘদিন একসঙ্গে সংসার করলেও, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী তাঁদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করেছে বলে জানা গিয়েছে।

গত বছরের দীপাবলি উৎসবের সময় সেহওয়াগ সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি শেয়ার করেছিলেন, তাতে তাঁর দুই ছেলে এবং মা ছিলেন। কিন্তু কোনও ছবিতেই আরতি ছিলেন না। এছাড়াও, আরতির নামও কোথাও উল্লেখ করেননি সেহওয়াগ। তাঁর এই নীরবতা তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জনকে আরও জোরালো করেছে। দুই সপ্তাহ আগে সেহওয়াগ পালক্কাড়ের বিশ্ব নাগয়ক্ষী মন্দিরে গিয়েছিলেন। এই ভ্রমণের ছবিগুলি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। এখানেও স্ত্রী আরতির কোনও উল্লেখ ছিল না। এরপর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে সেহওয়াগ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বক্তব্য না জানালেও, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের একসঙ্গে দেখা না যাওয়া অনুরাগীদের মধ্যে জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে।

দিল্লির মেয়ে আরতি সাধারণত জনসমক্ষে খুব একটা আসেন না। সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও দূরে থাকেন। ১৯৮০ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণকারী আরতি লেডি ইরউইন সেকেন্ডারি স্কুল, ভারতীয় বিদ্যাভবনে পড়াশোনা করেছেন। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৈত্রেয়ী কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। এই দম্পতির প্রেমকাহিনী শুরু হয় ২০০০ সালের গোড়ার দিকে এবং ২০০৪ সালে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাসভবনে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের প্রেম পরিণতি পায় বিয়ের পিঁড়িতে। পরবর্তী বছরগুলিতে সেহওয়াগ এবং আরতিকে আদর্শ দম্পতি হিসেবে দেখা হত। সেহওয়াগ ক্রিকেটে সাফল্যের শিখরে পৌঁছলে, আরতি পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতেন। তবে, এখন তাঁদের সম্পর্কে কিছুদিন ধরে ফাটল ধরেছে, যা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

২০১৫ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর সেহওয়াগকে ক্রিকেট সংক্রান্ত বিভিন্ন ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। ন্যাডার অ্যান্টি ডোপিং আপিল প্যানেলের সদস্য হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। সেহওয়াগের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনও আলোচনা হয়নি। তবে, বিবাহ বিচ্ছেদের খবরের মাঝে এটি চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। সেহওয়াগ বা আরতি কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও, তাঁদের বিচ্ছেদের লক্ষণগুলি ক্রমশঃ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।