ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শেষ মুহূর্তে হিসেব পাল্টে দিল ‘ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে দলটি’

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ম্যাচের তখন ৮৮ মিনিটের খেলা চলছিল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এগিয়ে ১-০ গোলে। এমন সময় গড়বড় পাকিয়ে ফেলেন হ্যারি মাগুয়ের। রেঞ্জার্স ডিফেন্ডার জেমস তাভেরনিয়ের দূরপাল্লার শটের গতি ও অবস্থান ঠিকঠাক বুঝতে না পেরে হেড করতে গিয়ে বলে মাথা ছোঁয়াতেই ব্যর্থ হন ইংলিশ সেন্টারব্যাক। বল যায় সরাসরি সিরিয়েল ডেসার্সের পায়ে। অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি রেঞ্জার্সের নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। স্কোরলাইন তখন ১-১!

ম্যাগুয়েরের এ ভুল ম্যান ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিমের চারদিন আগের কথাটা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। গত রোববার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ব্রাইটনের কাছে হারের পর পর্তুগিজ কোচ বলেছিলেন, ‘এটাই হয়তো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে দল।’ গ্যালারিতে বসা রেড ডেভিলদের সাবেক কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসনও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ম্যাগুয়েরের এমন ডিফেন্ডিংয়ে।

তবে শেষের নাটকীয়তায় ম্যাগুয়েরকে হেডলাইন হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে লিসান্দ্রো মার্তিনেসের মাপা ক্রসে দারুণ ফিনিশিং দেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। তাতে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে শেষ হাসি হাসে ম্যান ইউনাইটেড।

এ নিয়ে ইউরোপা লিগে সর্বশেষ ৪ ম্যাচেই জয় পেল ইউনাইটেড। অথচ টুর্নামেন্টের প্রথম ৩ ম্যাচেই ড্র করে বসেছিল রেড ডেভিলরা। এরপর টানা ৪ জয়ে ৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে আমোরিমের দল। সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে আছে রেঞ্জার্স।

ম্যাচের ফল একদিকে সরিয়ে রাখলে, রেঞ্জার্সের মাঠ আইব্রক্সে অবশ্য দাপটই দেখিয়েছে ম্যান ইউনাইটেড। ৬৭ শতাংশ বলের দখল রাখার পাশাপাশি ফের্ন্দান্দেস-গার্নাচো-আমাদ দিয়ালোরা শট নিয়েছিলেন ১৬টি।

ইউনাইটেড অবশ্য ২৩তম মিনিটেই একবার গোল উৎসব করেছিল। দিয়ালোর কর্নার থেকে দারুণ হেডে বল জালে জড়িয়েছিলেন ডি লিট। কিন্তু কর্নার নেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে রেঞ্জার্স গোলকিপার জ্যাক বাটল্যান্ডকে ধাক্কা দিয়েছিলেন টবি কোলিয়ার। সেই ফাউলে বাতিল হয়ে যায় গোলটি।

৩৬ মিনিটে আরেকবার গোলের খুব কাছে গিয়েছিল আমোরিমের দল। ব্রুনো ফের্নান্দেসের থ্রুতে বক্সের ভেতর অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন দিয়ালো। সামনে শুধু রেঞ্জার্স গোলকিপার। কিন্তু দিয়ালো এগিয়ে আসা বাটল্যান্ডের শরীর বরাবর শট নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন। বিরতির ২ মিনিট আগে লিসান্দ্রো মার্তিনেসের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দিয়ে ম্যান ইউনাইটেডকে আরেক দফা হতাশ করেন বাটল্যান্ড।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে বাটল্যান্ডের ভুলেই এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। ম্যাচের ৫২ মিনিটে কর্নার পায় রেড ডেভিল। এরিকসেনের নেওয়ার কর্নার গোললাইন থেকে বেরিয়ে এসে হাত দিয়ে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন বাটল্যান্ড। কিন্তু শটটি রেঞ্জার্স গোলকিপারের হাতের বিপরীত দিকে লেগে বল আশ্রয় নেয় রেঞ্জার্সের জালেই।

অবশ্য এরপর দারুণ কিছু সেভ করে ওই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার চেষ্টা করেন বাটল্যান্ড। এরমধ্যে ৮৮ মিনিটে ম্যাগুয়েরের ওই ভুলের পর মনে হয়েছিল, ম্যাচটা বোধহয় ড্র হতে যাচ্ছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দেন ফের্নান্দেস।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেষ মুহূর্তে হিসেব পাল্টে দিল ‘ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে দলটি’

আপডেট সময় : ০২:০২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

ম্যাচের তখন ৮৮ মিনিটের খেলা চলছিল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এগিয়ে ১-০ গোলে। এমন সময় গড়বড় পাকিয়ে ফেলেন হ্যারি মাগুয়ের। রেঞ্জার্স ডিফেন্ডার জেমস তাভেরনিয়ের দূরপাল্লার শটের গতি ও অবস্থান ঠিকঠাক বুঝতে না পেরে হেড করতে গিয়ে বলে মাথা ছোঁয়াতেই ব্যর্থ হন ইংলিশ সেন্টারব্যাক। বল যায় সরাসরি সিরিয়েল ডেসার্সের পায়ে। অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি রেঞ্জার্সের নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। স্কোরলাইন তখন ১-১!

ম্যাগুয়েরের এ ভুল ম্যান ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিমের চারদিন আগের কথাটা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। গত রোববার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ব্রাইটনের কাছে হারের পর পর্তুগিজ কোচ বলেছিলেন, ‘এটাই হয়তো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে দল।’ গ্যালারিতে বসা রেড ডেভিলদের সাবেক কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসনও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ম্যাগুয়েরের এমন ডিফেন্ডিংয়ে।

তবে শেষের নাটকীয়তায় ম্যাগুয়েরকে হেডলাইন হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে লিসান্দ্রো মার্তিনেসের মাপা ক্রসে দারুণ ফিনিশিং দেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। তাতে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে শেষ হাসি হাসে ম্যান ইউনাইটেড।

এ নিয়ে ইউরোপা লিগে সর্বশেষ ৪ ম্যাচেই জয় পেল ইউনাইটেড। অথচ টুর্নামেন্টের প্রথম ৩ ম্যাচেই ড্র করে বসেছিল রেড ডেভিলরা। এরপর টানা ৪ জয়ে ৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে আমোরিমের দল। সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে আছে রেঞ্জার্স।

ম্যাচের ফল একদিকে সরিয়ে রাখলে, রেঞ্জার্সের মাঠ আইব্রক্সে অবশ্য দাপটই দেখিয়েছে ম্যান ইউনাইটেড। ৬৭ শতাংশ বলের দখল রাখার পাশাপাশি ফের্ন্দান্দেস-গার্নাচো-আমাদ দিয়ালোরা শট নিয়েছিলেন ১৬টি।

ইউনাইটেড অবশ্য ২৩তম মিনিটেই একবার গোল উৎসব করেছিল। দিয়ালোর কর্নার থেকে দারুণ হেডে বল জালে জড়িয়েছিলেন ডি লিট। কিন্তু কর্নার নেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে রেঞ্জার্স গোলকিপার জ্যাক বাটল্যান্ডকে ধাক্কা দিয়েছিলেন টবি কোলিয়ার। সেই ফাউলে বাতিল হয়ে যায় গোলটি।

৩৬ মিনিটে আরেকবার গোলের খুব কাছে গিয়েছিল আমোরিমের দল। ব্রুনো ফের্নান্দেসের থ্রুতে বক্সের ভেতর অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন দিয়ালো। সামনে শুধু রেঞ্জার্স গোলকিপার। কিন্তু দিয়ালো এগিয়ে আসা বাটল্যান্ডের শরীর বরাবর শট নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন। বিরতির ২ মিনিট আগে লিসান্দ্রো মার্তিনেসের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দিয়ে ম্যান ইউনাইটেডকে আরেক দফা হতাশ করেন বাটল্যান্ড।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে বাটল্যান্ডের ভুলেই এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। ম্যাচের ৫২ মিনিটে কর্নার পায় রেড ডেভিল। এরিকসেনের নেওয়ার কর্নার গোললাইন থেকে বেরিয়ে এসে হাত দিয়ে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন বাটল্যান্ড। কিন্তু শটটি রেঞ্জার্স গোলকিপারের হাতের বিপরীত দিকে লেগে বল আশ্রয় নেয় রেঞ্জার্সের জালেই।

অবশ্য এরপর দারুণ কিছু সেভ করে ওই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার চেষ্টা করেন বাটল্যান্ড। এরমধ্যে ৮৮ মিনিটে ম্যাগুয়েরের ওই ভুলের পর মনে হয়েছিল, ম্যাচটা বোধহয় ড্র হতে যাচ্ছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দেন ফের্নান্দেস।