ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এটাই পৃথিবীর ‘শেষ রাস্তা’, এরপরই ‘শেষ’ দুনিয়া

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তর প্রান্ত হল উত্তর মেরু। উত্তরমেরু পেরিয়ে আরও উত্তরে গেলে কি পৃথিবী শেষ? পৃথিবীর কোন-ও শেষ রাস্তা আদৌ হয় কী? এই নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে এবং শেষপর্যন্ত দেখা গিয়েছে, সত্যিই পৃথিবীর শেষ রাস্তা আছে, যারপর-ই শেষ হয়ে যায় এই দুনিয়া।

পৃথিবী গোলাকার। উত্তর এবং দক্ষিণ ভাগ সামান্য চাপা। গোলাকৃতি বস্তুর আসলে কোনও অন্ত নেই। মানচিত্র বলছে, উত্তরমেরু পেরিয়ে আরও উত্তরে এগোতে চাইলে কখনও হয়তো দক্ষিণমেরুর দেখা মিলতে পারে। কিন্তু পৃথিবীর উত্তরপ্রান্ত তো উত্তরমেরুতেই শেষ! এখানেই তাই রয়েছে পৃথিবীর শেষ রাস্তা,যারপর-ই শেষ হয়ে যায় এই দুনিয়া।

পৃথিবীর শেষ মিশে গিয়েছে অসীমে। ভূ-বিজ্ঞানীরা দিলেন সেই রাস্তার হদিশ। সেখানে পৌঁছোনো কি সম্ভব? উত্তরটা হল, হ্যাঁ, সম্ভব। পৃথিবীর শেষ রাস্তাটির নাম হল ইউরোপের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ (E 69 হাইওয়ে)। কিন্তু পৃথিবীর এই শেষ রাস্তায় ভুলেও একা যাবেন না, ঘটবে চরম বিপদ।

এই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ অবস্থিত নরওয়ে-তে, উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ নিরক্ষরেখার উপরের দিকে। এবার প্রশ্ন হল, এই রাস্তাটিকে কেন বিশ্বের শেষ রাস্তা বলা হয়? কেনই বা সেখানে একা যাওয়া মানা? সেখানে গেলে কি অতল গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার ভয় আছে? কোথা শুরু হয়ে কোথায় শেষ হয়েছে এই রাস্তা? দুনিয়ার শেষ রাস্তা বহু রহস্যে ঘেরা…

উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে বিশ্বের শেষ রাস্তা বা ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’, যা উত্তর ইউরোপের নর্ডক্যাপকে সংযুক্ত করেছে নরওয়ের সঙ্গে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ কিলোমিটার। এই রাস্তাটা যেখানে শেষ হয়েছে তার পর আর কিছু দেখা যায় না… রয়েছে শুধুই সমুদ্র, হিমবাহ এবং তুষার।

পৃথিবীর শেষ রাস্তায় একা যাওয়া নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র একটি দলে সেখানে যাওয়ার অনুমতি মেলে। সেই রাস্তায় গাড়ি চালানোও নিষিদ্ধ। কারণ, এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকা শুধু বরফে ঢাকা, কাজেই একা গেলে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

পাশাপাশি, এখানে শীতকালে ৬ মাস অন্ধকার থাকে, গ্রীষ্মকালে ৬ মাস সূর্য দেখা যায়।

শীতকালে যেমন এখানে কোনও দিন নেই, তেমনই গ্রীষ্মকালে এখানে কোনও রাত নেই। শীতকালে এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছোয় এবং গ্রীষ্মে তা পৌঁছোয় শূন্য ডিগ্রিতে।

‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয় ১৯৩০ নাগাদ। ১৯৩৪ সালে হাইওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। রাস্তার সম্প্রসারণ হয়েছে ধীরে ধীরে।

রাস্তার বর্তমান দৈর্ঘ্য ১২৯ কিলোমিটার সম্পূর্ণ হয়েছে ১৯৯২ সালে। এখন এই জায়গায় বেশ কয়েকটি হোটেল এবং রেস্তোরাঁ আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এটাই পৃথিবীর ‘শেষ রাস্তা’, এরপরই ‘শেষ’ দুনিয়া

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তর প্রান্ত হল উত্তর মেরু। উত্তরমেরু পেরিয়ে আরও উত্তরে গেলে কি পৃথিবী শেষ? পৃথিবীর কোন-ও শেষ রাস্তা আদৌ হয় কী? এই নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে এবং শেষপর্যন্ত দেখা গিয়েছে, সত্যিই পৃথিবীর শেষ রাস্তা আছে, যারপর-ই শেষ হয়ে যায় এই দুনিয়া।

পৃথিবী গোলাকার। উত্তর এবং দক্ষিণ ভাগ সামান্য চাপা। গোলাকৃতি বস্তুর আসলে কোনও অন্ত নেই। মানচিত্র বলছে, উত্তরমেরু পেরিয়ে আরও উত্তরে এগোতে চাইলে কখনও হয়তো দক্ষিণমেরুর দেখা মিলতে পারে। কিন্তু পৃথিবীর উত্তরপ্রান্ত তো উত্তরমেরুতেই শেষ! এখানেই তাই রয়েছে পৃথিবীর শেষ রাস্তা,যারপর-ই শেষ হয়ে যায় এই দুনিয়া।

পৃথিবীর শেষ মিশে গিয়েছে অসীমে। ভূ-বিজ্ঞানীরা দিলেন সেই রাস্তার হদিশ। সেখানে পৌঁছোনো কি সম্ভব? উত্তরটা হল, হ্যাঁ, সম্ভব। পৃথিবীর শেষ রাস্তাটির নাম হল ইউরোপের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ (E 69 হাইওয়ে)। কিন্তু পৃথিবীর এই শেষ রাস্তায় ভুলেও একা যাবেন না, ঘটবে চরম বিপদ।

এই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ অবস্থিত নরওয়ে-তে, উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ নিরক্ষরেখার উপরের দিকে। এবার প্রশ্ন হল, এই রাস্তাটিকে কেন বিশ্বের শেষ রাস্তা বলা হয়? কেনই বা সেখানে একা যাওয়া মানা? সেখানে গেলে কি অতল গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার ভয় আছে? কোথা শুরু হয়ে কোথায় শেষ হয়েছে এই রাস্তা? দুনিয়ার শেষ রাস্তা বহু রহস্যে ঘেরা…

উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে বিশ্বের শেষ রাস্তা বা ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’, যা উত্তর ইউরোপের নর্ডক্যাপকে সংযুক্ত করেছে নরওয়ের সঙ্গে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ কিলোমিটার। এই রাস্তাটা যেখানে শেষ হয়েছে তার পর আর কিছু দেখা যায় না… রয়েছে শুধুই সমুদ্র, হিমবাহ এবং তুষার।

পৃথিবীর শেষ রাস্তায় একা যাওয়া নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র একটি দলে সেখানে যাওয়ার অনুমতি মেলে। সেই রাস্তায় গাড়ি চালানোও নিষিদ্ধ। কারণ, এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকা শুধু বরফে ঢাকা, কাজেই একা গেলে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

পাশাপাশি, এখানে শীতকালে ৬ মাস অন্ধকার থাকে, গ্রীষ্মকালে ৬ মাস সূর্য দেখা যায়।

শীতকালে যেমন এখানে কোনও দিন নেই, তেমনই গ্রীষ্মকালে এখানে কোনও রাত নেই। শীতকালে এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছোয় এবং গ্রীষ্মে তা পৌঁছোয় শূন্য ডিগ্রিতে।

‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয় ১৯৩০ নাগাদ। ১৯৩৪ সালে হাইওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। রাস্তার সম্প্রসারণ হয়েছে ধীরে ধীরে।

রাস্তার বর্তমান দৈর্ঘ্য ১২৯ কিলোমিটার সম্পূর্ণ হয়েছে ১৯৯২ সালে। এখন এই জায়গায় বেশ কয়েকটি হোটেল এবং রেস্তোরাঁ আছে।