ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত, বাকশাল গঠন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশ পুনর্গঠনে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েমের লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ-বাকশাল গঠন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ৭২ এর সংবিধানে সংশোধনী এনে নিজের খেয়াল খুশিমত পচাত্তরের ২৫ জানুয়ারি সংসদে পাস করা হয় বাকশাল। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়ে তার কন্যা শেখ হাসিনা ও ভিন্ন মুখোশে একই পথ অনুসরণ করেন।

১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশ গড়া ও জনগণের মৌলিক চাহিদা পুরণ করা ছিলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছে তাদের নিয়ে একটি বিপ্লবী সরকার গঠন করার পরামর্শ দেয়া হলেও তা উপেক্ষা করে একক সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

১৯৭২ সালে একটি সংবিধান গঠন করে পাকিস্তানের সময় প্রাদেশিক সরকারের যারা দায়িত্বে ছিলো তাদের নিয়ে। তখন থেকেই মুক্তিকামি মানুষের স্বপ্নভঙ্গ শুরু হয়। রাজনীতিবিদরা বলছেন, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পর থেকে শুরু হয় রাজনৈতিক বিভাজন।

নানামুখী অত্যাচারে স্বাধীনতার ৩ বছরের মাথায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯১টি আসনে বিজয়ী হওয়া আওয়ামী লীগের জনসমর্থন তলানিতে নেমে যায়। নিজেদের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ নিজেদের রচিত সংবিধানকে ধ্বংস করে বিনা আলোচনায় চতুর্থ সংশোধনী বিল ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে পাশ করে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বাকশাল করা হয়।

তারা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক লিডার হিসেবে সফল হলেও প্রশাসক হিসেবে অযোগ্য ছিলেন। তাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। বাকশাল করার কারনেই তার পতন দ্রুত হয়েছে।

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়ার ফলে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার অবস্থা ৫ আগস্টের মতো অপমানজনক হয়েছে। জনতার রোষানলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা। আর যাতে শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট ও বাকশাল ফিরে না আসে এই আকাঙ্খা দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের।

নিউজটি শেয়ার করুন

সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত, বাকশাল গঠন

আপডেট সময় : ০১:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

দেশ পুনর্গঠনে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েমের লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ-বাকশাল গঠন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ৭২ এর সংবিধানে সংশোধনী এনে নিজের খেয়াল খুশিমত পচাত্তরের ২৫ জানুয়ারি সংসদে পাস করা হয় বাকশাল। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিয়ে তার কন্যা শেখ হাসিনা ও ভিন্ন মুখোশে একই পথ অনুসরণ করেন।

১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশ গড়া ও জনগণের মৌলিক চাহিদা পুরণ করা ছিলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছে তাদের নিয়ে একটি বিপ্লবী সরকার গঠন করার পরামর্শ দেয়া হলেও তা উপেক্ষা করে একক সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

১৯৭২ সালে একটি সংবিধান গঠন করে পাকিস্তানের সময় প্রাদেশিক সরকারের যারা দায়িত্বে ছিলো তাদের নিয়ে। তখন থেকেই মুক্তিকামি মানুষের স্বপ্নভঙ্গ শুরু হয়। রাজনীতিবিদরা বলছেন, ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পর থেকে শুরু হয় রাজনৈতিক বিভাজন।

নানামুখী অত্যাচারে স্বাধীনতার ৩ বছরের মাথায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯১টি আসনে বিজয়ী হওয়া আওয়ামী লীগের জনসমর্থন তলানিতে নেমে যায়। নিজেদের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ নিজেদের রচিত সংবিধানকে ধ্বংস করে বিনা আলোচনায় চতুর্থ সংশোধনী বিল ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে পাশ করে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বাকশাল করা হয়।

তারা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক লিডার হিসেবে সফল হলেও প্রশাসক হিসেবে অযোগ্য ছিলেন। তাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। বাকশাল করার কারনেই তার পতন দ্রুত হয়েছে।

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়ার ফলে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার অবস্থা ৫ আগস্টের মতো অপমানজনক হয়েছে। জনতার রোষানলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা। আর যাতে শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট ও বাকশাল ফিরে না আসে এই আকাঙ্খা দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের।